ঢাকাঃ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল আয়োজিত পদযাত্রা কর্মসূচি থেকে সরকারি বাঙলা কলেজের মূল গেইট, তথ্য কেন্দ্র, ৭ ও ৮ নং ভবনের জানালার গ্লাস ভাংচুর, মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ। সাধারণ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে উল্কানীমূলক মন্তব্য ও হামলা চালিয়ে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে গুরুতর আহত করাসহ সকল নৈরাজ্যমূলক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে মানবন্ধন আয়োজন করেছে সরকারি বাঙলা কলেজ প্রশাসন ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
রোববার (২৩ জুলাই) এ মানববন্ধন আয়োজন করা হয়। সকাল ১১ ঘটিকায় শুরু হয়ে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত ঘণ্টাব্যাপী চলে এই মানববন্ধন কর্মসূচী।
এতে কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. জাহাঙ্গীর হোসের, উপাধ্যক্ষ প্রফেসর সেলিমা আলম, শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক প্রফেসর মিটুল চৌধুরীসহ অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ অংশ নেন। এছাড়াও কলেজ শাখা ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
মানববন্ধনে অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আপনারা জানেন গত ১৮ জুলাই নিয়মিতভাবেই আমাদের ক্লাস চলছিলো, আমাদের শিক্ষকরা ক্লাসে ব্যস্ত ছিলো, অভ্যন্তরিন পরীক্ষা চলছিল। ঠিক এই মুহুর্তে বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে বাংলাদেশ জাতীয়বাদ দল কর্তৃক আমাদের শান্তিপূর্ণ ক্যাম্পাসে সাধারণ শিক্ষার্থীদেরকে মিছিলে যাওয়ার জন্য জোর করা হয়। মিছিলে না যাওয়ার সাধারণ শিক্ষার্থীদের ইট পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। সাধারণ শিক্ষার্থীদের মারধর করা হয়। আমাদের গেট ভেঙে ভেতরে ডুুকে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালানো হয়। মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়া হয়। আমাদের পাঁচজন ছাত্র হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। একটি শান্তিপূর্ণ ক্যাম্পাস এবং গুণগত শিক্ষপ্রতিষ্ঠান হিসেবে সরকারি বাঙলা কলেজ ইতোমধ্যেই সুনাম অর্জন করেছে। এরকম একটা ক্যাম্পাসে এসে অতর্কিত পরিকল্পনা মাফিক হামলা চালানোটাকে আমরা ভালোভাবে নিচ্ছি না। আমরা মনে করি, শিক্ষার এই সুন্দর পরিবেশকে নষ্ট করার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। তাই কলেজের সকল শিক্ষক- শিক্ষার্থী ও কর্মচারী তথা কলেজ প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই মানববন্ধন আয়োজন করা হয়েছে।
কলেজটির শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাবেক সহ সভাপতি মানিক চৌধুরী বলেন, ‘১৮ জুলাই বিএনপি বাঙলা কলেজে যে হামলা করেছে এটি কোনোভাবেই কাম্য নয়। এছাড়াও তোফাজ্জজল হোসেন পলাশ যার একটি পা নেই তার ওপর হামলা ন্যক্কারজনক। আমরা এই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এইচ এম সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘বাঙলা কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর বিএনপি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কর্তৃক হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এই হামলার ফলে একটি বিষয় স্পষ্ট যে, তাদের নেত্রী খালেদা জিয়া এইট পাস। তাই তারা চান না দেশে আর কেউ পড়াশোনা করুক। যে কারণেই তারা জঙ্গি স্টাইলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে।
অন্যন্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ছাত্রলীগ নেতা আখতারুজ্জামান হাওলাদার হাফিজ, সোলাইমান খান, শাহরিয়ার নাফিজ সজিব, হামিদুল্লাহ জিহাদ, তরিকুল ইসলাম রাহুল, রুবেল হোসেন, সোহাগ খাঁন, মাহাবুবুল আলম রাজু, নাহিদ হোসেনসহ অন্যান্য ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ।
এমআইসি