লকডাউনে যাত্রী হয়রানি ও প্রাসঙ্গিক কথা

নুরুল ইসলাম আজাদ আগস্ট ৫, ২০২১, ০২:২২ পিএম
ফাইল ফটো

করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকার লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকারের এ সিদ্ধান্তকে অনেকে স্বাগত জানিয়েছেন আবার অনেকে ভিন্ন মত পোষন করেছেন। সাধারণত যে কোন বিষয়ে প্রায় ১৮ কোটি জনগণের রাষ্ট্র বাংলাদেশে মত পার্থক্য থাকা স্বাভাবিক।

আমরা সকলে একমত যে, দেশের শহর এবং গ্রাম সর্বত্র করোনা রোগীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার দরুন অনেকের মধ্যে ভয়-ভীতি কাজ করছে। এতদ্ব স্বত্তেও অনেকে অতি প্রয়োজনীয় মাস্ক ব্যবহারে উদাসীন। অনেকে বলবো না, আমরা প্রায় সকলে।

প্রশ্ন হলো লকডাউন আমরা কতটুকু মানছি? উত্তর, আমরা মানছি না। গ্রামের চা দোকানগুলোর সাটার বন্ধ থাকলেও দরজা খোলা থাকে এবং সেখানে পূর্বের মতো জমিয়ে আড্ডা চলে। যিনি লকডাউনের কারণে গ্রামে রয়েছেন তিনিতো আর গ্রামের বাড়িতে নেই। আছেন গ্রামের হাটে, চলছে আড্ডা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ, কিন্তু শিক্ষার্থীরা কোথায় ? তারা খেলার মাঠে, হাটে কিংবা বন্ধুদের সাথে আড্ডায়। তাহলে লকডাউন কেন ? এ কেন’র উত্তর রচনামূলক হবে। তাই সংক্ষিপ্ত পরিসরের এ লেখায় তা উল্লেখ করলাম না। এবং এটি উক্ত লেখার বিষয়বস্তুও না।

লকডাউনে বিভিন্ন প্রয়োজনে মানুষকে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে হচ্ছে। যাদের নিজস্ব যানবাহন নেই তারা সঙ্গত কারণে গণপরিবহনে উঠতে হচ্ছে। গণপরিবহনে যাত্রীর সংখ্যা পূর্বের তুলনায় বর্তমানে কম নেই। বরং অনেক ক্ষেত্রে আরো বেশী। এটিকে যাত্রীরা সমস্যা মনে করছেন না। সমস্যা মনে করছেন, গাড়িতে উঠার পূর্বে ভাড়া নির্ধারন না করলে চালক ন্যায্য মূল্য থেকে দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করছেন। অনেক সময় যাত্রীদের সাথে দূর্ব্যবহার করছেন। যার ফলে যাত্রীরা পড়ছেন চরম বিপাকে। আবার যেসব যাত্রী গাড়িতে উঠার পূর্বে ভাড়া নির্ধারন করছেন, তাদেরকে ন্যায্য ভাড়া থেকে কিছুটা অতিরিক্ত ভাড়া গুণতে হচ্ছে। কারণ চালকেরা সবাই ঐক্যবদ্ধ ভাবে ভাড়তি ভাড়া আদায় করছেন। বিশেষ করে সিএনজি চালকেরা। এ ক্ষেত্রে যাত্রীরা নিরুপায়!

আমাদের দেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে উচ্চ মধ্যবিত্ত্ব এবং উচ্চবিত্ত্বদের নিজস্ব গাড়ি রয়েছে। যারা নিম্ন মধ্যবিত্ত্ব কিংবা নিম্নবিত্ত্ব তাদের গাড়ী নেই। তাহলে দেখা যাচ্ছে নিম্নবিত্ত্ব এবং মধ্যেবিত্ত্ব পরিবারের মানুষদেরকে বাড়তি ভাড়া গুণতে হচ্ছে। অর্থনৈতিক যাতা কলে তারা নিয়মিত পিষ্ঠ হচ্ছেন। এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারী জরুরী। একই সাথে সামাজিক সংগঠন ও সংবাদ মাধ্যম এর নিকট থেকে এ বিষয়ে আমরা আরো অধিক ভূমিকা আশা করছি।