পাখি পালন করেই লাখপতি

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২০, ১১:০৮ এএম

সাতক্ষীরা: জেলার কালিগঞ্জের রঘুনাথপুর গ্রামের সবুজ কয়েক বছর আগে শখের বসে ১৫ শত টাকা দিয়ে এক জোড়া বাজারিগার পাখি কিনে পুষতে থাকেন। প্রথমে শখ হিসেবে পাখি পোষা শুরু করলেও বর্তমানে তার দুলাভাইকে সাথে নিয়ে গড়ে তুলেছেন বাণিজ্যিক পাখির খামার। 

তাদের খামারে রয়েছে বাজারিগার, প্রিন্স, ককাটেল, লাভ বার্ড, ডায়মন্ড ডাব, জাভা ও মুনিয়া প্রজাতির সাত থেকে আটশ পাখি। এর বাইরেও রয়েছে পারভীন, জালালি ও গিরিবাজ জাতের কবুতর। যার সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে গোটা অঞ্চলে। 

তাদের খামারে উৎপাদিত পাখি বাড়ি থেকে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন যশোর, খুলনা ও সাতক্ষীরার ব্যবসায়ীরাসহ আশপাশের এলাকার সাধারণ মানুষ।

পাখি পালন অত্যন্ত লাভজনক ব্যবসা উল্লেখ করে সবুজ বলেন, প্রতি মাসে তিন হাজার টাকার খাবার লাগে। এছাড়া আনুসাঙ্গিক সামান্য কিছু খরচ রয়েছে। সব খরচ বাদ দিয়ে মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা লাভ হয়।

সবুজের দুলাভাই সাইফুল ইসলাম বলেন, মাস্টার্স শেষ করার পর চাকরি না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছিলাম, ঠিক তখনই সবুজের সঙ্গে পাখি পালন শুরু করি। এর মধ্যে সুবজের পল্লী বিদ্যুতের চাকরি হয়ে গেলে তার খামারটি আমার বাড়ির উঠানে স্থানান্তর করি। এখন পাখি পালনই আমার পেশা। এতে তেমন ঝুঁকিও নেই। লাভজনকও বটে। যে কেউ ইচ্ছা করলেই পাখির খামার করে আত্ম কর্মসংস্থান করতে পারে।  

তিনি আরো বলেন, বর্তমানে বাজারিগার চারশ টাকা জোড়া, লাভ বার্ড সাড়ে তিন থেকে চার হাজার টাকা, ককাটেল আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা, মুনিয়া দুইশ টাকা, প্রিন্স চারশ টাকা, জাভা এক হাজার দুইশ টাকা, ডায়মন্ড ডাব আটশ টাকা ও কবুতরের জোড়া দুইশ থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। পাখি বিক্রি করেই বছরে প্রায় দুই লাখ টাকা আয় হচ্ছে তাদের।

আগামীনিউজ/মিজান