ঢাকাঃ ইংলিশ ফুটবলের ‘কার্টান রাইজার’ হিসেবে পরিচিত কমিউনিটি শিল্ড ট্রফির ১০১তম আসরে মাঠে নেমেছিল ইংলিশ ফুটবলের দুই পরাশক্তি আর্সেনাল ও ম্যানচেস্টার সিটি। শনিবার (৬ আগস্ট) কমিউনিটি শিল্ডে নাটকীয় এক ম্যাচে সিটিকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে আর্সেনাল। নির্ধারিত সময়ে ১-১ গোলে ড্র হওয়ার পর, পেনাল্টি শুট আউটে সিটিকে ৪-১ গোলে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে মিকেল আর্তেতার শিষ্যরা।
লন্ডনের বিখ্যাত ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ম্যাচের প্রথমার্ধ ছিল অবশ্য বিবর্ণ। দুই দলই আক্রমণে গিয়েছে, তবে গতবারের ট্রেবলজয়ী ম্যানসিটির ধীরগতির ফুটবলে প্রথমার্ধ ছিল বিবর্ণ। নতুন সাইনিং মাতেও কোভাচিচ আর অভিজ্ঞ রড্রির রসায়ন ভালোই ছিল। কিন্তু জ্যাক গ্রিলিশ আর বার্নাদো সিলভা ছিলেন না চেনা ছন্দে। উল্টো আর্সেনাল গোলের বেশকিছু সুযোগ সৃষ্টি করে। চেলসি ছেড়ে এ মৌসুমেই আর্সেনালে আসা কাই হাভার্টজ সহজ দুটি সুযোগ হাতছাড়া না করলে প্রথমার্ধেই এগিয়ে যেতে পারত প্রিমিয়ার লীগের গত মৌসুমের দ্বিতীয় সেরা দল।
দ্বিতীয়ার্ধে মাতেও কোভাচিচকে তুলে নিয়ে কেভিন ডি ব্রুইনকে নামানোর পর সিটির খেলার ধরন পাল্টে যায়। ৬৯ মিনিটে বলার মতো প্রথম সুযোগ তৈরি করে সিটি। তবে পল পালমারের বাঁকানো শটে বল আর্সেনালের এক খেলোয়াড়ের গায়ে লেগে বারের ওপর দিয়ে যায়।
এর ৮ মিনিট পর আসে সিটির গোল। ডি ব্রইনের পাসে ডি বক্সের ডান প্রান্ত দিয়ে ঢুকেই বাঁ পায়ের কোনাকুনি শট নেন ইংল্যান্ডের হয়ে গত মাসে অনূর্ধ্ব–২১ ইউরো জেতা পালমার। তার অসাধারণ গোলে এগিয়ে যায় সিটি।
ম্যাচটা শেষ হতে পারত ওই এক গোলেই। বিতর্ক আছে ১১ মিনিটের এক্সট্রা টাইম নিয়ে। তবে নতুন নিয়ম অনুযায়ী রেফারি চাইলেই তা পারেন। সেই লম্বা সময়ের ফায়দা ঠিকই তুলে নিয়েছে গানার্সরা। অতিরিক্ত সময়ের শেষ সেকেন্ডে তাদের সমতায় ফেরান লিয়ান্দ্রো টোসার্ড। সিটির স্কোরার পালমারের মতো তিনিও ছিলেন বদলি।
কমিউনিটি শিল্ডের ম্যাচ ৯০ মিনিটে ফলাফলে সমতা থাকলে সরাসরি পেনাল্টি শুটআউটের নিয়ম। যেখানে সফল আর্সেনালই। অপরদিকে সিটির দুই অভিজ্ঞ তারকা ডি ব্রুইন এবং রদ্রি করেছেন মিস। বিপরীতে ৪ শটের প্রতিটিতেই লক্ষ্যভেদ করেছে আর্সেনাল। ফ্যাবিও ভিয়েরার শেষ শট জালে জড়াতেই মৌসুমের প্রথম শিরোপা উল্লাসে ভাসলো লন্ডনের ক্লাবটি।
বুইউ