ঢাকাঃ কাতারের মাটিতে ৩৬ বছর পর আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের ক্ষেত্রে যতটা অবদান ছিল লিওনেল মেসির, তার থেকে কিছু কম ছিল না এমিলিয়ানো মার্টিনেজের। এই গোলরক্ষকের ফাইনালে সেই ১২৩ মিনিটের অবিশ্বাস্য সেইভ এখনো আর্জেন্টাইন ভক্তদের মনে রয়েছে। আলবিসেলস্তেদের ফুটবল ইতিহাসে মার্টিনেজ অমর হয়ে থাকবেন। এবার এই বিশ্বকাপজয়ী তারকাকে কলকাতার স্পোর্টস প্রোমোটার শতদ্রু দত্ত ভারতে আনতে যোগাযোগ করলে, সে বাংলাদেশেও আসতে চায় বলে জানায়।
এ বিষয়ে ২৯ মে তার ফেসবুক পেজ থেকে আসার খবর নিশ্চিত করেছেন তিনি। বাংলাদেশের ভক্তদের সঙ্গে দেখা করার রোমাঞ্চ ছুঁয়ে যাচ্ছে তার মনে। এবার নতুন করে দেওয়া আরেক পোস্টে তিনি জানালেন, আগামী ৩ জুলাই বাংলাদেশ সফরে আসছেন তিনি।
আজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোষ্ট দিয়ে মার্টিনেজ লিখেন, ‘আমি আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি, ভারতীয় উপমহাদেশে আমার সফর শুরু হবে আগামী ৩ জুলাই ২০২৩ তারিখে। সফর শুরু হবে বাংলাদেশ থেকে, যেখানে আমি ফাউন্ডনেক্সট ও নেক্সট ভেনচার টিমের সঙ্গে দেখা করব। আমাদের এই সাক্ষাৎ ভবিষ্যতের সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতার সুর তৈরি করে দেবে। বাংলাদেশে দেখা সাক্ষাৎ শেষে আমি কলকাতায় যাব, শুরু হবে আমার আড়াই দিনের ভারত অভিযান। আমি এই রোমাঞ্চকর অভিযান নিয়ে খুবই আগ্রহ ভরে অপেক্ষা করছি এবং এই যাত্রায় যে বৈচিত্র্যময় অভিজ্ঞতা এবং শিক্ষা পাব, সেটা নেওয়ার প্রত্যাশায় আছি। ’
এর আগে গত মে মাসে জানা গিয়েছিল, কলকাতার ক্রীড়া উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্ত শুধু কলকাতায় আনার ব্যাপারে যোগাযোগ করেছিলেন মার্টিনেজের সঙ্গে। কলকাতা সফর চূড়ান্ত হওয়ার পর শতদ্রুকে মার্টিনেজ বাংলাদেশে আসার ব্যাপারে তার ইচ্ছার কথা জানান। শতদ্রু এরপর সফরসূচির মধ্যে ঢাকা সফরের ব্যাপারটিও যুক্ত করেন।
এমনিতেই আর্জেন্টিনার ভক্ত এবং ব্রাজিলের ভক্ত কলকাতায় কিংবা বাংলাদেশে চিরকাল। তাই সদ্য বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন দলের এক নম্বর গোলরক্ষক ফুটবলার এলে সেটা ফুটবলপ্রেমীদের জন্য বিরাট ব্যাপার হবে তাতে সন্দেহ নেই। বিশ্বকাপের আগে ব্রাজিলের হয়ে দুইবার বিশ্বকাপ জেতা তারকা ফুটবলার কাফু কলকাতায় এসেছিলেন। তাকে নিয়ে এসেছিলেন ক্রীড়া সংগঠক শতদ্রু দত্ত। এর আগে তার উদ্যোগেই শহরে এসেছিলেন ফুটবল সম্রাট পেলে ।
তার উদ্যোগেই শহর দেখেছে ম্যারাডোনা, দুঙ্গা, ভালদেরেমার মত ফুটবলাররা। তবে বিশ্বকাপ জেতার এত কম সময়ের মধ্যে কোনও তারকাই কলকাতা শহরে আসেননি। মার্টিনেজ বিভিন্ন সমালোচনায় জড়িয়েছিলেন। তার সেলিব্রেশন নিয়ে বিভিন্ন কথা হয়। কিন্তু আর্জেন্টিনা এবং মেসি ভক্তদের কাছে সেসব কোন দোষ নয়। মার্টিনেজ কলকাতায় এবং বাংলাদেশে পা দিলে প্রচুর লোক দেখতে যাবেন সেটা বলে দেওয়াই যায়।
বুইউ