পেলেকে শেষ শ্রদ্ধা জানাচ্ছে লাখো মানুষ

ক্রীড়া ডেস্ক জানুয়ারি ৩, ২০২৩, ০১:৩৯ পিএম
পেলের কফিনের পাশে তার তৃতীয় স্ত্রী মার্সিয়া আওকি। ছবি- এএফপি

ঢাকাঃ ডিয়েগো ম্যারাডোনার পর ফুটবলের আরও এক কিংবদন্তির মৃত্যু। ক্যানসারের সঙ্গে দীর্ঘ দিন লড়াই করে না ফেরার দেশে চলে গেলেন ফুটবল সম্রাট পেলে। কার্যত এই দুই মহানায়ককে হারিয়ে ফুটবল যেন অভিভাবকহীন হয়ে গেলো। মৃত্যুর চার দিন পরে আজ ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তির শেষ কৃত্যের প্রক্রিয়া শুরু হলো। স্যান্টোসের ভিলা বেলমিরো স্টেডিয়ামে তাকে ২৪ ঘণ্টা ধরে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন সাধারণ মানুষ। 

গতকাল সকাল থেকেই ভিলা বেলমিরোর আশেপাশে ভিড় জমতে শুরু করে। হাসপাতাল থেকে পেলের মরদেহ এনে রাখা হয় স্টেডিয়ামের মাঝখানে তৈরি করা একটি অস্থায়ী মঞ্চে। তাঁর কফিনের উপরের অংশ খুলে দেওয়া হয়। একটি সাদা চাদর জড়ানো রয়েছে পেলের শরীরের উপরে।

ব্রাজিলের ঐতিহ্যবাহী ক্লাব সান্তোসের স্টেডিয়ামে রাখা হয়েছে পেলের কফিনবন্দী নিথর দেহ। এই কিংবদন্তির শেষ কৃত্যে উপস্থিত হয়েছেন ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। সেখানে তিনি বলেছেন, পৃথিবীর সব দেশে পেলের নামে স্টেডিয়াম বানানোর অনুরোধ করা হবে।

পেলের কপালে হাত রেখে প্রার্থনা করে শ্রদ্ধা জানানোর প্রক্রিয়া শুরু করেন তার ছেলে এডিনহো। তার পর পেলের স্ত্রী মার্সিয়া আয়োকি একটি ক্রুশ পেলের দেহের উপরে রাখেন। সোমবার সকাল ১০টা থেকে সাধারণ মানুষের জন্যে স্টেডিয়ামের দরজা খুলে দেওয়া হয়।

ফুলে ফুলে ঘেরা পেলের কফিনে প্রথম শ্রদ্ধা জানান ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো, কনমেবলপ্রধান আলেজান্দ্রো ডমিঙ্গেজসহ ব্রাজিলের গণমান্য ব্যক্তিবর্গ। নেইমারের পক্ষে তার বাবা উপস্থিত আছেন পেলের শেষকৃত্যে। পিএসজি থেকে ছুটি নিয়ে নেইমারও এসেছেন পেলেকে শেষ বিদায় জানাতে। শেষ বিদায় জানাতে গিয়ে পেলের স্ত্রী মার্সিয়া আওকি স্বামীর মরদেহের পাশে কান্নায় ভেঙে পড়লে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। ফিফা সভাপতি তখন আওকিকে সান্ত্বনা দেন।

মঙ্গলবার সকাল ১০টা পর্যন্ত এখানেই রাখা হবে তাঁর কফিন। এরপর শুরু হবে শেষযাত্রা। সান্তোসের বিভিন্ন রাস্তায় ঘোরানো হবে তাঁর কফিন। পেলেকে নিয়ে যাওয়া হতে পারে তাঁর পৈতৃক ভিটাতেও। সেখানে থাকেন তাঁর শতবর্ষী মা ডোনা সেলেস্তে আরান্তেস। 

বুইউ