ঢাকাঃ শুরু থেকেই কাতার বিশ্বকাপ নিয়ে সমালোচনা ও বিতর্ক ছিল। তবে সব বিতর্ক, সমালোচনাকে পেছনে ফেলে কাতার বিশ্বকাপে ফুটবলপ্রেমীরা সাক্ষী হলো অনন্য রেকর্ডের। হট ফেভারিট অনেক দলের যেমন বিদায় ঘটেছে তেমনি চমক দেখিয়েছে এশিয়ার দেশগুলো। সবকিছু মিলিয়ে এখন পর্যন্ত দুর্দান্ত এক বিশ্বকাপই আয়োজন করেছে কাতার।
দেশটির এমন দুর্দান্ত বিশ্বকাপ আয়োজনে মুগ্ধ ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। কাতার বিশ্বকাপকে ইতিহাসের সেরা হিসেবে অভিহিত করে তিনি বলেন, কাতার বিশ্বকাপ দেখিয়ে দিয়েছে যে এখন আর বিশ্বকাপে ছোট দল বা বড় দল বলে কিছু নেই।
ফিফা সভাপতি বলেন, 'এখন আর বড় দল ও ছোট দল বলে কিছু নেই। সবার মান ছিল কাছাকাছি। প্রথমবারের মতো সব মহাদেশের জাতীয় দল নকআউট পর্বে গেল। এটা দেখায় যে ফুটবল এখন সত্যিই বৈশ্বিক একটি খেলা।' খবর মার্কার
গ্রুপ পর্যায়ে উঠে আসা ৩২টি দলের প্রশংসা করে ইনফান্তিনো বলেছেন, 'আমি এই বিশ্বকাপের সবগুলো ম্যাচ দেখেছি। খুব সহজে ও স্পষ্টভাবে বলতে গেলে, এটি বিশ্বকাপের সর্বকালের সেরা গ্রুপ পর্ব ছিল। একই সঙ্গে স্টেডিয়ামের মান ছিল দারুণ এবং দর্শকের ভিড়ও হয়েছে প্রচুর।গড়ে ৫১ হাজার দর্শক দেখা গেছে ম্যাচগুলোতে।'
ফিফা বস আরও বলেন,শুধু স্টেডিয়াম কিংবা দোহার রাস্তাতেই নয়, টেলিভিশনেও ফুটবল উপভোগ করা দর্শকসংখ্যা নতুন রেকর্ড গড়েছে কাতার বিশ্বকাপে এসে। টেলিভিশনে সংখ্যাটা রেকর্ড ভেঙেছে। আমরা ইতিমধ্যে ২০০ কোটির বেশি দর্শক পেয়েছি, যা সত্যিই অবিশ্বাস্য! ২৫ লাখ মানুষ দোহার রাস্তায় দাঁড়িয়ে এবং লাখো মানুষ প্রতিদিন স্টেডিয়ামে এসে খেলা দেখেছেন। তারা সম্মিলিতভাবে উল্লাস করেছেন এবং নিজেদের দলকে সমর্থন দিয়েছেন।'
বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো প্রতিটি মহাদেশের দল নকআউট পর্বে প্রতিনিধিত্ব করেছে। এ পর্যায়ে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি) থেকে তিনটি দেশ (এটিও প্রথমবারের মতো) এবং আফ্রিকান ফুটবল কনফেডারেশন (সিএএফ) থেকে দুটি দেশ (ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে।
বিশ্বকাপের এবারের আয়োজনের সার্থকতা তুলে ধরে ইনফান্তিনো বলেন, 'আমরা আশা করি, ফিফা বিশ্বকাপ যেভাবে শুরু হয়েছে, সেভাবেই এগিয়ে যাবে। আমি নিশ্চিত যে আমরা বিশ্বব্যাপী ৫০০ কোটি দর্শকের মাইলফলক ছুঁতে পারব।'
বিশ্বকাপ শুরুর আগে কাতারের বিভিন্ন আইন নিয়ে সমালোচনায় মাতে পশ্চিমা বিশ্ব। অ্যালকোহল, খোলামেলা পোশাক, বিয়ে বহির্ভূত সঙ্গি এবারের বিশ্বকাপে নিষিদ্ধ। এসব নিয়ম নিয়েই সমস্যা পশ্চিমাদের। কাতার বিশ্বকাপ বয়কটেরও ডাক ওঠে। তবে কাতারের পাশে দাঁড়িয়ে সে সময় পশ্চিমাদের একহাত নেন ইনফান্তিনো।
বুইউ