ঢাকাঃ লিওনেল মেসি গোল পেলেন। গড়লেন রেকর্ডও। তারপরও ম্যাচ শেষে ঠিকই হতাশা গ্রাস করল পিএসজিকে। বেনফিকার বিপক্ষে বুধবার উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে ফরাসি জায়ান্টরা হাসিমুখে মাঠ ছাড়তে পারেনি। যদিও ২১তম মিনিটে মেসির এক গোল লিড এনে দেয় তাদের। কিন্তু এরপরই দানিলো পেরেরার আত্মঘাতী গোলে সর্বনাশ। লিসবনের এস্তাদিও দা লুজে বেনফিকার বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র নিয়েই বাজল শেষ বাঁশি!
প্রথমার্ধে বল দখলে পিএসজি এগিয়ে থাকলেও সুযোগ বেশি তৈরি করে বেনফিকা। গোলের জন্য প্রথম শট নেয় তারাই। ম্যাচের অষ্টম মিনিটে গঞ্জালো রামোসের শট পা দিয়ে ঠেকিয়ে দেন জিয়ানলুইজি দোনারুমা।
১৮তম মিনিটে আরও একবার পিএসজিকে বাঁচান দোনারুমা। ডেভিড নেরেসের শট এক হাতে কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন ইতালিয়ান এই গোলরক্ষক।
এর কিছুক্ষণ পরই এগিয়ে যায় পিএসজি, আক্রমণত্রয়ী মেসি, নেইমার ও কিলিয়ান এমবাপের নৈপুণ্যে ২১তম মিনিটে।
এমবাপেকে বল বাড়িয়ে সামনের দিকে ছুটে যান মেসি। নেইমারের পা ঘুরে ডি-বক্সের মাথায় বল পেয়ে বাঁ পায়ের দারুণ বাঁকানো শটে গোল করেন আর্জেন্টাইন খুদেরাজ। বেনফিকা গোলরক্ষক লাফিয়েই বলের নাগাল পাননি। চলতি আসরে মেসির এটি দ্বিতীয় গোল, ইউরোপ সেরার মঞ্চে ১২৭তম।
গোল খেয়েও দমে যায়নি বেনফিকা বরং একের পর এক আক্রমণ শানাতে থাকে। আক্রমণের সুফল ৪২তম মিনিটে পেয়েও যায় দলটি। এনসো ফের্নান্দেসের ক্রসে লাফিয়েও মাথা ছোঁয়াতে পারেননি গঞ্জালো রামোস। বলের লাইন থেকে সরতে পারেননি তার পেছনেই থাকা দানিলো পেরেইরা। এই ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে দিক পাল্টে বল জড়ায় জালে। আত্মঘাতী গোলে ফেরে সমতা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ফের এগিয়ে যেতে পারতো পিএসজি। ৪৮তম মিনিটে আশরাফ হাকিমির শট গোলরক্ষক কোনোমতে ফিরিয়ে দেওয়ার পর নেইমারের দর্শনীয় বাইসাইকেল কিক ব্যর্থ হয় ক্রসবারে লেগে।
৫৫তম মিনিটে নেইমারের দারুণ ফ্রি-কিক ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান বেনফিকা গোলরক্ষক ভ্লাকোদিমোচ। ৬৯তম মিনিটে ফের বেনফিকার ত্রাতা গোলরক্ষক। এমবাপের বাঁকানো শটে দূরের পোস্টে ঝাঁপিয়ে পড়ে কোনোমতে ঠেকান তিনি।
সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে রক্ষণাত্মক হয়ে পড়ে বেনফিকা। ফলে পিএসজি সুযোগ তৈরি করেও আর জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেনি।
মেসি এই সময়টাতে এসে দুর্দান্ত ছন্দে আছেন। শেষ চার বছরে প্রথমবার ক্লাব ও দেশের হয়ে টানা ৬ ম্যাচে গোল করলেন ৩৫ বছর বয়সী এই মহাতারকা। এই ড্রয়ে পিএসজি ও বেনফিকার সমান ৭ পয়েন্ট।
এমবুইউ