ঢাকা: ওপাড়ে চলে গেলেন ভারতের কিংবদন্তি অলরাউন্ডার রমেশচন্দ্র গঙ্গারাম নাদকার্নি। ক্রিকেটে তিনি সমধিক পরিচিত ছিলেন বাপু নাদকার্নি হিসেবে। মেয়ে জামাই বাপুর মৃতুর খবর জানিয়ে ভারতীয় একটি সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন,‘ উনি অনেক দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন।’
ভারতের হয়ে বাপু খেলেছিলেন ৪১টি টেস্ট। উইকেট নিয়েছিলেন ৮৮টি। রান করেন ১৪১৪। একটি সেঞ্চুরিও ছিল। তবে নিখুঁত লাইনে বল করে সবার নজর কেড়েছিলেন বাপু। ১৯৬৪ সালে মাদ্রাজে (বর্তমানে চেন্নাই) ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্টে টানা ২১টি মেডেন ওভার করে নাদকার্নি নজির গড়েছিলেন। সেই টেস্টে তাঁর বোলিং পরিসংখ্যান ছিল ৩২-২৭-৫-০।
মহারাষ্ট্রের নাসিকে জন্ম নাদকার্নির। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে খেলেছিলেন ১৯১টি ম্যাচ। ছিলেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। মোট রান ছিল ৮৮৮০। গড় ৪০.৩৬। সেঞ্চুরি করেছিলেন ১৪টি। সর্বোচ্চ ২৮৩। বল হাতে নিয়েছিলেন ৫০০ উইকেট। সেরা বোলিং ছিল ১৭ রানে ৬ উইকেট। ১৯৫৫ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দিল্লিতে ভারতের হয়ে প্রথম টেস্ট খেলেন। তাঁর প্রথম অধিনায়ক ছিলেন পলি উমরিগড়। অভিষেক টেস্টে অবশ্য কোনো উইকেট পাননি বাপু।
কৃপণ স্পিনার হিসেবে পরিচিত বাপুকে চেনা যায় ১৯৬০-৬১ মৌসুমে ঘরের মাটিতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে। কানপুর টেস্টে দুই ইনিংসে তাঁর বোলিং পরিসংখ্যান ছিল যথাক্রমে ৩২-২৪-২৩-০ এবং ৭-৪-৬-০। পরে দিল্লি টেস্টে দুই ইনিংসে তাঁর বোলিং পরিসংখ্যান ছিল ৩৪-২৪-২৪-১ এবং ৫২.৪-৩৮-৪৩-৪। ১৯৬৮ সালে শেষ টেস্ট খেলেন অকল্যান্ডে নিউজ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধেই। তখন তাঁর অধিনায়ক ছিলেন মনসুর আলি খান পতৌদি। সেই ম্যাচেও বোলিং পরিসংখ্যান ছিল ১৪-৬-১৬-১ এবং ২-১-১-১। ভারত জিতেছিল ২৭২ রানে।
বাপুর মৃত্যুর খবর শুনে শচীন টেন্ডুলকার টুইট করেছেন। মাষ্টার ব্লাস্টার লিখেছেন, ‘বাপু নাদকার্নির মৃত্যুর খবরে মন খারাপ হয়ে গেল। একটি টেস্ট ম্যাচে ওঁর টানা ২১টি মেডেন নেওয়ার গল্প শুনে বড় হয়েছি। উনার পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানাই। শান্তিতে থাকবেন স্যার।’
আগামী নিউজ/আরবি/জেডআই