ঢাকাঃ অদ্ভুত সব কারণে অস্থায়ী কর্মীদের ছাঁটাই করার অভিযোগ উঠেছে উইম্বলডন টেনিস কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। হসপিটালিটি ও হাউজকিপিংয়ের জন্য অস্থায়ী ভিত্তিতে নেওয়া বেশ কয়েকজন কর্মীকে এরই মধ্যে ছাঁটাই করে ফেলা হয়েছে।
আর সেসব ছাটাইয়ের কারণও বেশ অদ্ভুত। অভিযোগ পাওয়া গেছে, না বলে টয়লেটে যাওয়ার কারণে বেশ কয়েকজন অস্থায়ী কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়েছে। ইংল্যান্ডের জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে এ খবর।
কাজের শিফট শেষ হয়ে যাওয়ার পর পানীয় হাতে টিলায় বসে থাকার কারণে তিনজনকে ছাঁটাই করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সেখানে ছিলেন মোটামুটি ভালো পারিশ্রমিকে হসপিটালিটি বিভাগে কাজ পাওয়া ১৯ বছর বয়সী এক শিক্ষার্থীও।
কিন্তু ভালো বেতনের আনন্দটা মিইয়ে গেছে তার। কেননা অদ্ভুত কারণে কাজটি হারিয়েছে তারা। এক বন্ধু জানান, ‘বুধবার আমরা যথারীতি কাজ করছিলাম এবং মধ্যাহ্ন বিরতির সময় আমার এক বন্ধু উঁচু টিলায় বসে স্ট্রবেরি খাচ্ছিলো।’
তিনি আরও বলেন, ‘তো এরপর সে একটি মেইল পেলো যে, সে আর সামনে কোনো শিফট পাবে না। আমরা এখন বিরতিতে কী করবো, না করব, এ নিয়ে ভয়ে থাকি। যদি বলে আমাদের আর আসার দরকার নেই, এ ভয়ে। পুরো ব্যাপারটাই খুব অদ্ভুত।’
আরেক অস্থায়ী কর্মী এটিকে লজ্জাজনক হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন, ‘পুরো ব্যবস্থাপনার চিত্র বলে দিচ্ছে এটা। তারা যেভাবে পারছে, লোক ছাঁটাই করছে। ওদের আসলে লোক বেশি এবং ওরা বলছে যে যথেষ্ট দর্শক নাকি আসেনি, অন্তত ওরা যতটা আশা করেছিল। এ কারণেই ছাঁটাই করছে তারা।’
সেই কর্মী আরও বলেন, ‘মূলত ওদের লোক বেশি নিয়োগ দেওয়া হয়ে গেছে বলেই ছাঁটাই করছে। এখন কর্মীদের খেলা দেখা, পান করাকে অজুহাত হিসেবে দেখাচ্ছে।’
কর্মী ছাঁটাইয়ের বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবেই স্বীকার করেছে অল ইংল্যান্ড লন টেনিস এবং ক্রোকেট ক্লাব (এইএলটিসি)। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে কর্মীদের কাছে পাঠানো ই-মেইলে তারা বলেছে, ‘আপনারা হয়তো খেয়াল করেছেন, দর্শকের সংখ্যা প্রত্যাশার চেয়ে কম, এ কারণে এইএলটিসি আমাদের কর্মী কমানোর কথা ভেবে দেখতে বলেছে।’
দর্শক কম আসার বিষয়টি সত্যি। প্রতিদিন ৪২ হাজার দর্শকের ধারণক্ষমতা রয়েছে উইম্বলডনের। গত বুধ ও বৃহস্পতিবার ৩৮ হাজারের কাছাকাছি দর্শক উপস্থিত ছিলো গ্যালারিতে। সর্বোচ্চ ৪৬৮২৬ জন দর্শকের দেখা মিলেছিল ২০০৯ সালে।
এমবুইউ