ঢাকা: প্রথম দল হিসাবে বঙ্গবন্ধু বিপিএলের ফাইনালে উঠে গেল মুশফিকুর রহিমের খুলনা টাইগার্স। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) তারা প্রথম কোয়ালিফায়ারে রাজশাহী রয়্যালসকে ২৭ রানে হারিয়েছে। খুলনার ৩ উইকেটে ১৫৮ রানের জবাবে রাজশাহী অলআউট হওয়ার আগে তুলতে পেরেছে ১৩১ রান। রাজশাহীর ফাইনালে ওঠার সুযোগ এখনো রয়েছে। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে তাদের প্রতিপক্ষ চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
এদিন রান তাড়া করতে নেমে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে পড়েছিল রাজশাহী। ৩৩ রানের মধ্যে ৬ উইকেট হারিয়ে বসেছিল পদ্মাপাড়ের দলটি। এই অবস্থা থেকে যেকোনো দলের জন্যই ম্যাচ জেতা কঠিন। রাজশাহীও পারেনি। তারপরও দলটি ১৩১ রান তুলতে পেরেছে স্রেফ শোয়েব মালিকের জন্য। রাজশাহীর হয়ে বলতে গেলে এই পাকিস্তানি একাই লড়েছেন। ৫০ বলে মালিকের ব্যাট থেকে এসেছে ৮০ রান। তাঁর ইনিংসে ছিল ১০টি চার ও চারটি ছক্কা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১২ রান তাইজুল ইসলামের। বাকিদের অবস্থা তথৈবচ।
রাজশাহীর এই ভগ্নদশার জন্য দায়ী আসলে মোহাম্মদ আমির। পাকিস্তানি এই পেসারের সুইং এদিন বুঝতেই পারেননি পদ্মাপাড়ের ব্যাটসম্যানরা। ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে মাত্র ১৭ রান দিয়ে আমির তুলে নিয়েছেন ৬ উইকেট। বিপিএলের ইতিহাসের এই প্রথম কোনো বোলার ৬ উইকেটের দেখা পেলেন। এটি একটি রেকর্ড। মেহেদি হাসান মিরাজ ২ উইকেট শিকার করেছেন ৬ রান দিয়ে।
এদিন টসে হেরে ব্যাট করতে নামা খুলনার শুরুটা হয়েছিল হতাশার। ইনিংসের তৃতীয় ওভার চলছিল তখন। স্কোরবোর্ডে উঠেছে ১৫ রান। মোহাম্মদ ইরফান প্রথম বলেই ফেরালেন মেহেদি হাসান মিরাজকে (৮)। সেই ওভারের পঞ্চম বলে ফেরালেন ইনফর্ম রাইলি রুশোকে।
চাপে পড়া খুলনাকে এখান থেকেই টানা শুরু করেছিলেন শান্ত। শেষ অবধি তিনি ৫৭ বলে ৭৮ রানে অপরাজিত ছিলেন। নিজের ইনিংসটি শান্ত সাজিয়েছেন সাত বাউন্ডারি আর চার ছক্কায়। মাঝে তিনি পাশে পেয়েছিলেন শামসুর রহমান (৩২) এবং মুশফিকুর রহিমকে (২১)। যদিও খুলনা অধিনায়ককে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে ফিরতে হয়েছে ড্রেসিংরুমে। ১৩ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন ইরফান।
আগামী নিউজ/আরবি/জেডআই