ঢাকা: সাতবার হাঁটুতে অস্ত্রপচার হয়েছে। তারপরও অদম্য ইচ্ছাশক্তির জোরে এখনো ২২ গজে বল হাতে দৌড়াচ্ছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। খেলাটা হৃদয় দিয়ে ভালোবাসেন বলেই এখনো ছুটছেন নড়াইল এক্সপ্রেস। তবে গত কিছু দিন হলো তার অবসরের গুঞ্জন প্রতিনিয়ত খবরের শিরোনাম হচ্ছে।
রবিবার (১২ জানুয়ারি) মাশরাফি নিজে থেকেই বোর্ড সভাপতিকে ফোন করে জানিয়েছেন, তিনি কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকতে চান না।
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে হারের পর সংবাদ সম্মেলনে আসা মাশরাফির কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল তার কেন্দ্রীয় চুক্তিতে না থাকার বিষয়টি। তিনি এর ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, ‘নতুন কাউকে সুযোগ দিতেই বলেছি। তিন বছর পর বিশ্বকাপ। যে আসবে সে হয়তো ভাববে আমি কেন্দ্রীয় চুক্তিতে আছি, তার দায়িত্ব বাড়বে। তার খেলার ইচ্ছা বাড়বে। আমার মতে নতুন কাউকে সুযোগ দেয়াই ভালো।’
মাশরাফি কেন্দ্রীয় চুক্তিতে নেই। আবার তিনি ওয়ানডে দলের অধিনায়ক। চুক্তিতে না থাকা একজন খেলোয়াড়ের পক্ষে অধিনায়কত্ব করা কঠিন। অধিনায়কত্বের বিষয়টি মাশরাফি বিসিবির ওপরই ছেড়ে দিলেন, ‘বিসিবি থেকে যদি এখনই ছেড়ে দিতে বলে, তাহলে এখনই ছেড়ে দেব। সমস্যা নেই।’ নিজে কী চান? মাশরাফির ছোট জবাব, ‘আমার সিদ্ধান্ত আমার কাছে থাক।’
বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান রবিবার জানিয়েছেন, তারা ঘটা করে মাশরাফিকে বিদায় দিতে চান। কিন্তু বাংলাদেশ দলের ওয়ানডে অধিনায়ক পরিস্কার জানিয়ে দিয়েছেন, তার জমকালো বিদায়ের দরকার নেই, ‘কালও ক্রিকেট বোর্ডের চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটার ছিলাম। আজ থেকে আর নেই। সব সময় ভাবি ক্রিকেট বোর্ড খেলোয়াড়দের অভিভাবক। তাদের বিপক্ষে যাওয়াটা কখনই গর্বের কিছু মনে করিনি এবং কখনো মনেও করি না। ক্রিকেট বোর্ডকে আন্তরিক ধন্যবাদ যে তারা আমার বিদায়ী ম্যাচ আয়োজন বা অবসরের বিষয়ে চিন্তা করেছে। পরিস্কার বার্তা দিচ্ছি, আমার ইচ্ছা নেই। তবে যদি কখনো সুযোগ আসে তাহলে দেখা যাবে। আবার কার কাছ থেকে বিদায় নেব, সেটাও কথা। আমার কোনো ইচ্ছে নাই।’
আগামীনিউজ/বিআর/এনএ