কষ্টার্জিত জয়ে আশা বাঁচিয়ে রাখলো বার্সেলোনা

ক্রীড়া ডেস্ক এপ্রিল ২২, ২০২২, ০৯:৪৭ এএম

ঢাকাঃ ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চের মাঝামাঝি পর্যন্ত যেন রীতিমতো মধুচন্দ্রিমাই কাটছিল জাভি হার্নান্দেজের বার্সেলোনার। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ থেকে রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সা যেন প্রতিপক্ষের জালে চার গোল জড়ানোর পণ নিয়েই নামতো সে সময়টায়। 

এরপরই এলো আন্তর্জাতিক ফুটবলের উইন্ডো, তা থেকে ফিরে ঘটল বার্সার ছন্দপতন। নিজ মাঠে হারল টানা দুই ম্যাচে, যার প্রথমটা ইউরোপা লিগ থেকে বিদায়ঘণ্টা বাজিয়েছে দলটার, আর দ্বিতীয়টা ‘শেষ’ করেছে লিগের আশা। নিজেদের মাঠে জেতা ভুলে যাওয়া বার্সা অবশেষে জয়ের দেখা পেয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতে লা লিগায় রিয়াল সোসিয়েদাদের মাঠ থেকে ১-০ গোলের কষ্টার্জিত পেয়েছে বার্সেলোনা। তাতে লিগ টেবিলের দুই নম্বরে ফিরেছে জাভি হার্নান্দেজের দল। আর খানিক সময় বাড়িয়েছে রিয়াল মাদ্রিদের ৩৫তম লা লিগা শিরোপা উৎসবের।

৩২ ম্যাচে ১৮ জয় ও ৯ ড্রয়ে ৬৩ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে বার্সা। ফলে ১৭ বছর পরে ইউরোপা লিগে খেলা দলটি সেরা চারে থেকে আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ফেরার লড়াইয়ে টিকে রইল ভালোভাবেই। সেইসাথে ভাগ্য অনেক ভালো হলে মিলতে পারে লা লিগা শিরোপাও।

কিন্তু আগামী পাঁচ রাউন্ডে মাত্র ৪ পয়েন্ট পেলেই লা লিগা শিরোপা পেয়ে যাবে প্রতিযোগিতার সফলতম দল রিয়াল। অন্যদিকে বার্সাকে শিরোপা পেতে হলে নিজেদের শুধু বাকি ছয়টি ম্যাচে জিতলেই হবে না, তাকিয়ে থাকতে হবে রিয়ালের খারাপ ফলাফলের দিকে আর যেখানে কিনা দুই দলের পয়েন্ট ব্যবধান এখন ১৫। তাই এক প্রকার শিরোপার অনেক কাছে রিয়াল। ৩৩ ম্যাচে ৭৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনার সমান পয়েন্ট নিয়ে তিনে আছে সেভিয়া।

প্রথমার্ধে অনেকটা গোছানো ফুটবল উপহার দেয় বার্সেলোনা। কিন্তু প্রথমেই গোল পাওয়ার পর যেন আক্রমণ থেকে শুরু করে ম্যাচে সবকিছুতে নিজেদের ছায়া হয়ে ছিলেন বার্সা খেলোয়াড়রা। উল্টো  একের পর এক আক্রমণ শানায় স্বাগতিক দল। গোলের জন্য দারুণ সুযোগও তৈরি করে রিয়াল সোসিয়েদাদ, কিন্তু  একটিও কাজে লাগাতে পারেনি।

ম্যাচের ১১ মিনিটের সময় একমাত্র গোলটি করেন জানুয়ারির দলবদলে ফ্রি ট্রান্সফারে আর্সেনাল থেকে বার্সেলোনায় যোগ দেওয়া অবামেয়াং। প্রথমে জর্দি আলবার ক্রসে থেকে পাওয়া বলে উসমান দেম্বেলের শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। সে বল ডি-বক্সের বাইরে থেকে ক্রস বাড়ান গাভি। সেটা বুক দিয়ে নামিয়ে পোস্টে ক্রস দেন ফেররান তরেস। হেডে লক্ষ্যভেদ করেন অবামেয়াং।

পুরো ম্যাচে গোলের জন্য ১১ টি শট নিতে পারে বার্সেলোনা, লক্ষ্যে ছিল মাত্র ১ টি। যেখানে ৪৪ শতাংশ সময় বল দখলে ছিল তাদের। আর ৫৬ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে সোসিয়েদাদের ৮ শটের ৫টি ছিল লক্ষ্যে।

সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা দুই হারের পর জয়ের স্বাদ পেল বার্সেলোনা। 

এমএম