ঢাকাঃ প্রথম লেগে ৩-১ গোলের জয় ছিল রিয়াল মাদ্রিদের৷ তাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ চারে উঠতে হলে চেলসিকে রিয়ালের মাটিতে করতে হতো অবিশ্বাস্য কিছু৷ এক, দুই, তিন গোল করে সে অবিশ্বাস্য কাজটা প্রায় করেই বসেছিল চেলসি, আর রিয়াল চলে গিয়েছিল খাদের কিনারায়।
তখনই রিয়াল করল গোল। যোগ করা অতিরিক্ত সময়ে বেনজেমা জাদু দেখালেন আরও একবার। তাতে ৩-২ গোলে হেরেও সামগ্রিক লড়াইয়ে ৫-৪ ব্যবধানের জয় নিয়ে রিয়াল চলে যায় চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ চারে।
আগের লেগে ৩-১ গোলে হারের পর চেলসির সামনে সমীকরণ ছিল কমপক্ষে দুই গোলে জেতার, তাও 'অন্তত' খেলাটা অতিরিক্ত সময়ে নিতে হলে। এমন সমীকরণ সামনে রেখেও অবশ্য চেলসি নেহায়েত ভড়কে যায়নি। বরং ঠাণ্ডা মাথায় আক্রমণ শানিয়েছে শুরু থেকে।
শেষ পর্যন্ত খেলার ফল ২-৩। অর্থ্যাৎ রিয়াল হারলো ২-৩ ব্যবধানে। কিন্তু জিতেও চেলসিকে বিদায় নিতে হলো। দুই লেগ মিলিয়ে যে গোল গড় দাঁড়ালো ৫-৪! আগের ম্যাচে চেলসির মাঠে ৩-১ গোলে জিতে এসেছিল রিয়াল।
ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে কার্লো আনচেলত্তির দলের বিপক্ষে ম্যাচের ১৫ মিনিটেই এগিয়ে যায় চেলসি। গোল করেন তরুণ ব্লুজ তারকা ম্যাসন মাউন্ট। দ্বিতীয়ার্ধের ৫১ মিনিটে অ্যান্তোনিও রুডিগার গোল করে চেলসিকে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে নেন। ৭৫তম মিনিটে আবারও স্বাগতিকদের স্তব্দ করে দেন জার্মান তারকা টিমো ওয়ার্নার। দলকে নিয়ে যান সেমির পথে।
চেলসি তখন সেমিফাইনাল থেকে মাত্র ১০ মিনিট দূরত্বে দাঁড়িয়ে। এমন সময় বদলি হিসেবে মাঠে নেমে গোল করে বসেন তরুণ ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রদ্রিগো গোয়েস। এই এক গোলেই আশা ফিরে পায় রিয়াল মাদ্রিদ।
ম্যাচ দুই লেগ মিলিয়ে ৪-৪ গোলের সমতায় দাঁড়ায়। অ্যাওয়ে গোলেও দুই দল সমান সমান। ফলে বিজয়ী নির্ধারণে খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। এরপর ৯৬ মিনিটে ভিনিসিয়ুসের ক্রসে হেডে গোল করে রিয়াল মাদ্রিদকে সেমিতে নিয়ে যান করিম বেনজেমা।
শেষ চারে রিয়াল মাদ্রিদ ম্যানসিটি এবং অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদের মধ্যে জয়ী দলের বিপক্ষ খেলবে।
এমএম