ঢাকাঃ এই কিছুদিন আগেও চেলসির যেন ‘সুখী পরিবার’ই ছিল। ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নরা জিতেছিল ক্লাব বিশ্বকাপও। এরপরই রাশিয়া আক্রমণ করে বসল ইউক্রেনে, বিশ্বজুড়ে রুশরা পড়লেন নানা বাধার মুখে। রুশ মালিক রোমান আব্রামোভিচের কারণে চেলসিও পড়ল একই বিড়ম্বনায়। পরিস্থিতিটা এমন ভবিষ্যৎটা আপাতত ঘোলাটেই ঠেকছে তাদের।
তবে এই দুঃসময়েও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতার আশাটা বাঁচিয়ে রেখেছে চেলসি। শেষ ষোলোয় ২-১ গোলে হারিয়েছে ফরাসি দল লিলকে। তাতে ৪-২ গোলের সামগ্রিক জয় নিয়ে দলটি পৌঁছে গেছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে।
পরিস্থিতিটা পক্ষে নেই মোটেও। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট স্থগিত পড়ে আছে, দর্শকদের মাঠে আসতে মানা, অর্থ আয়ের সব রাস্তা বন্ধ ক্লাবটির। এরই মধ্যে চেলসি রাতে মুখোমুখি হয়েছিল লিলের।
মাঠের বাইরে পরিস্থিতির ছাপ যেন কিছুটা পড়েছিল দলটির খেলাতেও। আক্রমণে ধার ছিল না। প্রথমার্ধের ৪০ মিনিট পর্যন্ত একটা শটও রাখতে পারেনি প্রতিপক্ষ গোলমুখে। এরই মধ্যে গোল হজম করে বসে ম্যাচের ৩৮ মিনিটে। পেনাল্টি থেকে স্বাগতিকদের এগিয়ে দেন তুর্কি ফরোয়ার্ড বুরাক ইলমাজ। প্রথম লেগটা চেলসি জিতেছিল ২-১ গোলে। ইলমাজের এই গোলে লড়াইয়ে ফেরে ২-২ গোলে সমতা।
তবে ম্যাচে পিছিয়ে পড়েই যেন টনক নড়ে থমাস টুখেলের শিষ্যদের। প্রথমার্ধের অন্তিম সময়ে সতীর্থ ক্রিশ্চিয়ান পুলিসিকের জন্য দারুণ এক থ্রু বল বাড়ান জর্জিনিও। সেটা প্রথম ছোঁয়াতেই প্রতিপক্ষ জালে জড়িয়ে দেন যুক্তরাষ্ট্রের ফরোয়ার্ড পুলিসিক। ম্যাচে ১-১ সমতা ফিরিয়ে সামগ্রিক লড়াইয়ে ২-৩ গোলে এগিয়ে যায় চেলসি।
৭১ মিনিটে চেজার অ্যাজপিলিকুয়েতার গোলে বাকি সব নিশ্চয়তাও মুছে দেয় দলটি। মেসন মাউন্টের নিচু ক্রসে ভলি করে গোলটি করেন স্প্যানিশ এই ডিফেন্ডার। তাতেই ২-১ গোলে ম্যাচ জিতে ৪-২ গোলের অগ্রগামিতায় শেষ আট নিশ্চিত করে কোচ থমাস টুখেলের দল। তাতে দুঃসময়েও চেলসির চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ধরে রাখার আশাটা বাড়ল আরেকটু।
এমবুইউ