ঢাকাঃ ১৮৯ রানের বড় সংগ্রহের পর সেমিফাইনাল নিশ্চিত করতে ইংল্যান্ডকে ১৩১ বা তার কমে আটকে রাখাতে হতো দক্ষিণ আফ্রিকার। তবে সেটি আর হলো না।
প্রোটিয়ারা ১০ রানে জিতলেও সুপার টুয়েলভের গ্রুপ ওয়ান থেকে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া শেষ চারে জায়গা করে নিল। ৫ ম্যাচ করে খেলে দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার প্রত্যেকের পয়েন্ট ৮।
কিন্তু রান রেটে ইংলিশরা গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার অবস্থান দ্বিতীয়। আর তৃতীয় পজিশনে থেকে এবারের বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিতে হলো প্রোটিয়াদের।
শনিবার শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ২ উইকেট হারিয়ে ১৮৯ রান করেছে প্রোটিয়ারা। সেঞ্চুরির খুব কাছে গিয়ে ৯৪ রানে অপরজিত থাকেন রাসি ভ্যান ডার ডুসেন।
১৯০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ড ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ২৭ বলে ৩৭ রান করেন মঈন আলী। এছাড়া ডেভিড মালান ৩৩, লিয়াম লিভিংস্টোন ২৮ ও জস বাটলার ২৬ রান করেন। ওপেনার জেসন রয় ২০ রান করে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন।
শেষ ওভারে জেতার জন্য ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ১৪ রান। কিন্তু রাবাদার দুর্দান্ত হ্যাট্রিকে জয় ছিনিয়ে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রোটিয়া বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট পান কাগিসো রাবাদা। স্পিনার তাবরাইজ শামসি ও ডোয়েন প্রিটোরিয়াস ২টি করে উইকেট দখল করেন।
টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে অবশ্য শুরুটা ভালো করতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। দলীয় ১৫ রানেই ওপেনার রেজা হেনড্রিক্স বোল্ড হন মঈন আলীর বলে। তবে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে রাসি ভ্যান ডার ডুসেনের সঙ্গে ৫২ বলে ৭১ রানের পার্টনারশিপ গড়েন আরেক ওপেনার কুইন্টন ডি কক।
তাদের এই জুটি ভাঙেন আদিল রশিদ। ২৭ বলে ৩৪ রান করা বাঁহাতি ওপেনার ডি কক এই স্পিনারের বলে জেসন রয়কে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন।
ডি কক বিদায় নিলেও উইকেটে অবচিল থাকেন রাসি। তিনি এরপর এইডেন মার্করামকে নিয়ে আরও দ্রুত ব্যাট চালান। তৃতীয় উইকেট জুটিতে তোলে মাত্র ৫২ বলে ১০৩ রান। অবশ্য সেঞ্চুরি হাতছাড়া হয় এই ডানহাতির। তিনি শেষ পর্যন্ত ৬০ বলে ৫টি চার ও ৬টি ছক্কায় ৯৪ রানে অপরাজিত থাকেন। অপরদিকে মার্করাম ২৫ বলে ২টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৫২ রান করে অপরাজিত থাকেন।
আগামীনিউজ/শরিফ