মোস্তাফিজ-তিয়াগীর দুর্দান্ত বোলিংয়ে রাজস্থানের নাটকীয় জয়

ক্রীড়া ডেস্ক সেপ্টেম্বর ২২, ২০২১, ১০:০৭ এএম
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকাঃ বুধবার দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে নাটকীয় এক ম্যাচে পাঞ্জাব কিংসকে ২ রানে হারিয়েছে রাজস্থান রয়্যালস। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৮৫ রান করে অলআউট হয়ে যায় রাজস্থান। জবাবে নির্ধারিত ২০ ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ১৮৩ রানের বেশি করতে পারেনি পাঞ্জাব।

পাঞ্জাব কিংসের নিয়ন্ত্রণে ম্যাচ। জয়টা ছিল সময়ের ব্যপার। রাজস্থান রয়্যালসকে হারাতে শেষ দুই ওভারে লাগত ৮ রান। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের এই যুগে এই কটা রান তো স্বাচ্ছন্দ্যে নেয়া যায়। কিন্তু সেটা করতে দেননি মোস্তাফিজুর রহমান আর কার্তিক ত্যায়াগি।

১৯তম ওভারে মোস্তাফিজ দেন মাত্র ৪ রান। শেষ ওভারে কার্তিকের হাতে বল তুলে দেন অধিনায়ক সাঞ্জু স্যামসন। ওই ওভারের প্রথম বলে ডট, দ্বিতীয় বলে এক রান নিয়ে প্রান্ত বদল করেন এইডেন মার্করাম।

তৃতীয় বলে নিকোলাস পুরানকে ওয়াইড লাইনে বল করে বিভ্রান্ত করে তুলে নেন উইকেট। চতুর্থ বলে ডট, পঞ্চম বলে ইনফর্ম মার্করামকেও একইভাবে বল করে ফেরান সাজঘরে।

শেষ বলে জিততে হলে লাগত ৩ রান। স্ট্রাইকে থাকা ফ্যাবিয়ান অ্যালেন সেটি করতে পারেননি। শেষ ওভারে ম্যাচ জিতিয়ে হিরো হয়ে গেলেন কার্তিক ত্যায়াগি।

দুবাইতে এদিন টস জিতে রাজস্থানকে ব্যাটিং করার আমন্ত্রণ জানায় পাঞ্জাব কিংস। দুই ওপেনার এভিন লুইস ও জশ্বি জসওয়ালের জুটি ভাঙে ৫৪ (৩৩) রানে। ৩৬ বলে ৪৯ রানের দারুণ একটা ইনিংস খেলে বিদায় নেন জসওয়াল।

এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়লেও এভিন লুইসের ৩৬ (২১), মাহিপাল লমরের ৪৩ (১৭) ও লিয়াম লিভিংস্টনের ২৫ (১৭) রানে ভর করে ১৮৫ রান তোলে রাজস্থান।

পাঞ্জাবের পক্ষে ৫ উইকেট নেন আর্শদিপ সিং। ৩ উইকেট নেন মোহাম্মদ শামি ও ১টি করে উইকেট নেন ইশান পরেল এবং হারপ্রিত বারার।

বড় লক্ষ্য টপকাতে ব্যাট করতে নেমে পাঞ্জাবের দুই ওপেনার মায়াঙ্ক আগারওয়াল ও লোকেশ রাহুল মিলে তোলেন ১২০ (৭২) রান। দলকে শক্ত অবস্থানে রেখে রাহুল বিদায় নেন ৩৩ বলে ৪৯ রানের ইনিংস খেলে।

মায়াঙ্ক আগারওয়াল ৬৭ রান করেন ৪৩ বলে। এরপর মার্করাম (২৬*) ও নিকোলাস পুরানের (৩২) জুটি দলকে জয়ের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেলেও শেষ হাসিটা হেসেছে রাজস্থান।

মোস্তাফিজ, ত্যায়াগি, রাহুল তেওয়াটিয়ারা পাঞ্জাবকে আঁটকে দেন ১৮৩/৪ রানে। ৩ রানে জিতে টুর্নামেন্টে টিকে রইল রাজস্থান রয়্যালস। ত্যায়াগি নেন ২ উইকেট, চেতন সাকারিয়া ও তেওয়াটিয়া নেন ১টি করে উইকেট।