ঢাকাঃ চলতি মৌসুমের গ্রীষ্মকালীন দলবদলে সবচেয়ে বড় চমকের মধ্যে একটি ছিল জুভেন্টাস ছেড়ে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে ফেরা। প্রায় ১২ মৌসুম পরে রেড ডেভিলদের ডেরায় ফেরায় বেশ খুশি সমর্থকরা। যার প্রমাণ মিলেছে জার্সি বিক্রিতে। ১২ ঘণ্টায় প্রায় ৩২.৫ মিলিয়ন ইউরোর জার্সি বিক্রি করেছে ম্যানইউ।
রোনালদোর সাত নম্বর জার্সিটি বাজারের আসার পর পরই ১২ ঘন্টায় প্রিমিয়ার লিগে পুরোনো জার্সি বিক্রির সকল রেকর্ড ভেঙেছে। এ সময়ের মধ্যে ৩২.৫ মিলিয়ন ইউরো সমমূল্যের জার্সি বিক্রি করেছে তারা। যদিও এরপরেও রোনালদোর জন্য খরচ করা ১২.৮৫ মিলিয়ন অর্থ তুলতে পারবে না ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
রোনালদোর জার্সি মূল্য ৮০ থেকে ১১০ পাউন্ড পর্যন্ত দাম রাখছে ইউনাইটেড কর্তৃপক্ষ। জার্সি বাজারে আসা মাত্র ৪ লাখ ৬ হাজার ২শ ৫০ পিস জার্সি বিক্রি করেছে তারা। যা কিনা প্রিমিয়ার লিগের সকল রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে।
ক্রেতাদের এ বিপুল চাহিদার জোগান দিতে হিমশিম খাচ্ছে রেড ডেভিলদের জার্সি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান অ্যাডিডাস। ক্লাব থেকে জানানো হয়েছে আগামী ১ অক্টোবরের আগে কোনো জার্সি ডেলিভারি করতে পারবেন না তারা। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ছাড়াও তৃতীয় পক্ষের জাসি বিক্রেতারাও জার্সি সংকটে ভুগছেন।
তবে এত মূল্যের জার্সি বিক্রি হলেও খুবই সামান্য পরিমাণ অর্থ ইউনাইটেডের পকেটে ঢুকবে। তবে জার্সি বিক্রির ঠক কত অংশ রেড ডেভিলরা পাবে তা এখনও জানা যায়নি।
২০১৪ সালে অ্যাডিডাসের সাথে ৭৫০ মিলিয়ন পাউন্ডের স্পনসরশিপ চুক্তি করেছিল ইউনাইটেড কর্তৃপক্ষ। এখন পর্যন্ত এটি ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে দামি কিট স্পনসর চুক্তি।
অ্যাডিডাসের সাথে চুক্তি অনুযায়ী জার্সি প্রতি ৪.৫০ শতাংশ থেকে ৬.২৫ শতাংশ অর্থ পেয়ে থাকে ইউনাইটেড। সে হিসেবে রোনালদোর জার্সি বিক্রি করে রেড ডেভিলদের একাউন্টে এখন পর্যন্ত ঢুকেছে ১.৮ মিলিয়ন ইউরো। জার্সি বিক্রিতে রেকর্ড করলেও ম্যানইউয়ের পকেটে ঢুকবে মাত্র ১.৮ মিলিয়ন ইউরো।