ঢাকাঃ ইউরোর দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ডেনমার্ককে ২-১ গোলে হারিয়ে স্বপ্নের ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে ইংল্যান্ড। ১১ জুলাই ফাইনালে ইতালির মোকাবেলা করবে ইংল্যান্ড। ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে এর আগেও দুবার সেমিফাইনালে খেলেছে ইংল্যান্ড। কোনো আসরেই তারা পেরোতে পারেনি শেষ চারের বাধা।
বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) সেই অসাধ্য সাধন করেছে হ্যারি কেন বাহিনী। ১৯৬৮ ও ১৯৯৬ সালে সেমিফাইনালে খেলার পর এবার হ্যারি কেনের আলোয় ডেনমার্ককে ২-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে থ্রি লায়ন্স টিম।
ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে শুরুর গল্পটা মিকেল ডমসগার্ডের। ৩০তম মিনিটে ফ্রি কিক থেকে দুর্দান্ত এক শটে ইংলিশ দুর্গ তছনছ করে দেন তিনি। তার আগে অবশ্য দুবার উল্লাসে মাতার উপলক্ষ এসেছিল ইংল্যান্ডের সামনে। দুবারই রহিম স্টার্লিং শট নিয়েছেন সোজা ক্যাসপার স্মাইকেলের গ্লাভসে। মিস করলেও ইংল্যান্ডকে নেতার মতই সেমিফাইনাল উতরানোর পথ বাতলে দিচ্ছেন জ্যামাইকান বংশোদ্ভূত ম্যানসিটি তারকা। তার কল্যাণেই সমতায় ফেরে গ্যারেথ সাউথগেটের শিষ্যরা।
মধ্যমাঠ থেকে হুট করে বাড়ানো পাস ধরে ডি-বক্সে ঢুকে যান বুকায়ো সাকা। একটু সামনে এগিয়ে রহিম স্টার্লিংকে বল বাড়িয়ে দেন তিনি। বল স্টার্লিংয়ের পায়ে পৌঁছার আগেই ডেনমার্ক অধিনায়ক সিমন কায়ের নিজেদের জালে লক্ষ্যভেদ করেন। এ নিয়ে এবারের ইউরোতে আত্মঘাতী গোল হলো ১১টি, যা ইউরোর ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এবারের আসরে আত্মঘাতী গোলের শুরুটা করেছিলেন তুরস্কের মেরিহ দেমিরাল।
বিরতির পর ম্যাচে ফিরে আক্রমণ পালটা আক্রমণে জমে উঠে দুদলের লড়াই। হ্যারি মাগুইয়ারের বেশ কয়েকটি হেডার গিয়ে মিলিয়েছে স্মাইকেলের হাতে। রহিম স্টার্লিংও ভয় ধরিয়েছেন ড্যানিশ শিবিরে। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা ১-১ গোলে সমতায় থাকলে ম্যাচ চলে যায় অতিরিক্ত সময়ে। যেখানে ১০৪তম বল নিয়ে ডেনমার্কের বক্সে ঢুকে যান স্টার্লিং।
দুই ডিফেন্ডার তাকে ফেলে দিলে পেনাল্টি পায় স্বাগতিকরা। হ্যারি কেনের পেনাল্টি ঠেকিয়ে দেন ডেনমার্ক গোলরক্ষক। তবে ফিরতি শটে বল জালে পাঠান ইংলিশ অধিনায়ক।