ঢাকাঃ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চলতি সিরিজে প্রথম দুই ম্যাচে ব্যাটিংয়ে দলকে বয়ে নিয়েছেন সিনিয়ররাই। প্রথম ম্যাচে ৮৪ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরা মুশফিক, ফিফটি করেন তামিম ইকবাল ও মাহমুদউল্লাহ। দ্বিতীয় ম্যাচে মুশফিক করেন সেঞ্চুরি, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪১ আসে মাহমুদউল্লাহর ব্যাট থেকে।
পরের প্রজন্মের যাদের নিয়ে অনেক আশা, তারা নিরাশ করছেন বারবার। দুই ম্যাচ খেলে ব্যর্থ লিটন দাস। প্রথম ম্যাচে তিনি আউট হন শূন্য রানে। অনেক আলোচনা-বিতর্কের পর দ্বিতীয় ম্যাচে সুযোগ পেয়ে করেন ২৫। সবশেষ ৮ ওয়ানডে ইনিংসে ২৫ তিনি ছাড়াতে পারেননি একবারও।
প্রথম ম্যাচে প্রথম বলেই দৃষ্টিকটু শটে আউট হন মোহাম্মদ মিঠুন। তার জায়গায় দ্বিতীয় ম্যাচে সুযোগ পেয়ে মোসাদ্দেক ১০ রানে আউট হন আরও বাজে শটে।
আফিফ হোসেন প্রথম ম্যাচে শেষ দিকে নেমে মোটামুটি কার্যকর ব্যাটিং করেন। দ্বিতীয় ম্যাচে তার সুযোগ ছিল লম্বা সময় উইকেটে কাটিয়ে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার। কিন্তু তিনিও ফেরেন উইকেট বিলিয়ে দিয়ে।
ইমরুল কায়েস দলে জায়গা হারিয়েছেন। নাসির হোসেন, সাব্বির রহমান, এনামুল হকরা ছিটকে পড়েছেন জাতীয় দল থেকে এখন অনেক দূরে।
একাদশের বাইরে স্কোয়াডে ছিলেন সৌম্য সরকার। দেশের ক্রিকেটের দীর্ঘ বিনিয়োগের প্রতিদান এখনও সেভাবে দিতে পারেননি যিনি। সবশেষ ১৫ ওয়ানডে ইনিংসে তার ফিফটি কেবল একটি। সুযোগ কাজে না লাগিয়ে এই সিরিজে বাদ পড়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
লঙ্কানদের বিপক্ষে দুই ম্যাচে দলকে বিপদ থেকে উদ্ধার করার পর মুশফিক বললেন, হেলায় সুযোগ হারাচ্ছেন লিটনরা। তাদেরকে সাফল্যের পথও বাতলে দিলেন তিনি।
“ একটা দলে যদি সাত-আটজন ধারাবাহিক পারফরমার থাকে, তাহলে যে কোনো দলের জন্যই প্লাস পয়েন্ট। যে কোনো পরিস্থিতি থেকে তখন দল বের হয়ে আসতে পারে। আজকে (মঙ্গলবার) তামিম ও সাকিবের মতো দুজন, যারা ওপরের দিকে সবসময় রান করে বাংলাদেশের জন্য, তারা ভালো করেনি। তাই লিটন, আফিফ ও মোসাদ্দেকের সুযোগ ছিল।”