ঢাকাঃ কিংবদন্তি ফুটবলার ডিয়েগো ম্যারাডোনার মৃত্যুর ঘটনায় সাত চিকিৎসককে ‘দায়ী’ করতে ‘অনিচ্ছাকৃত হত্যার’ অভিযোগ এনেছেন তদন্তকারীরা।
বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম সেরা এই ফুটবলার গত নভেম্বরে মারা যান। ব্রেন সার্জারির মাত্র দুই সপ্তাহ পরে ৬০ বছর বয়সে মৃত্যু হয় তার।
ম্যারাডোনার মৃত্যুর পর তার পরিবারের পক্ষ থেকে চিকিৎসকদের অবহেলার কথা উল্লেখ করা হয়। এখন মেডিকেল বোর্ডও সেই অভিযোগ তুলেছে।
মৃত্যুর আগে ১২ ঘণ্টা ধরে তিনি যন্ত্রণা ভোগ করলেও চিকিৎসকেরা যথাযথভাবে নজর দেননি অথবা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঠিকঠাক চিকিৎসা এবং যথা সময়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ম্যারাডোনা এখনো বেঁচে থাকতেন।
ম্যারাডোনার মৃত্যুর পর তার আইনজীবী টুইটে বলেন, ‘অ্যাম্বুলেন্স পৌঁছায় আধা ঘণ্টারও পরে। এটা দণ্ডনীয় অপরাধ।’
অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্তদের আট থেকে ২৫ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
অভিযুক্তদের মধ্যে আছেন ম্যারাডোনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ৩৯ বছর বয়সী লিওপোলদো লুক ও তার সাইকিয়াট্রিস্ট অগাস্তিনা কোসাচভ।
অভিযুক্তদের মধ্যে আরও আছেন-দুজন নার্স, একজন নার্স কোঅর্ডিনেটর, আরেক জন চিকিৎসক ও একজন সাইকোলজিস্ট।
অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তারা।
চিকিৎসক ও ম্যারাডোনার সহকারীদের মধ্যে কথাবার্তার একটি অডিও গণমাধ্যমে ফাঁস হয়েছে। তাতেও মৃত্যুর আগে ম্যারাডোনার উপযুক্ত চিকিৎসা না হওয়ার ইঙ্গিত মিলেছে।