আগামিকাল বাড়ি ফিরবেন সৌরভ

খেলাধুলা ডেস্ক জানুয়ারি ৫, ২০২১, ০৩:১৪ পিএম
সৌরভ গাঙ্গুলী। ছবিঃ সংগৃহীত

ঢাকাঃ সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। আজই (মঙ্গলবার) তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হতে পারত। তবে তা করা হচ্ছে। আগামিকাল (বুধবার) হাসপাতাল থেকে ছুটি পাচ্ছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। বিশিষ্ট চিকিৎসক দেবী শেঠি বলেন, ‘আজই বাড়ি ফিরতে পারতেন। আজ আমি এসেছি বলে যাচ্ছেন না।’

মঙ্গলবার সকালে ৯ টা ৩০ মিনিট নাগাদ উডল্যান্ডস হাসপাতালে আসেন বিশিষ্ট চিকিৎসক। সেখানে সৌরভের মেডিক্যাল রিপোর্ট খতিয়ে দেখার পর মেডিক্যাল বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা করেন। কথা বলেন সৌরভের সঙ্গেও। উডল্যান্ডস হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, এখন ভালো আছেন সৌরভ। রাতে ভালো ঘুম হয়েছে। সকালে প্রাতঃরাশ সেরেছেন। আগামিকাল তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হবে। বাড়িতে নিয়মিত পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। দিন ১৫-এর মধ্যে সৌরভের অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।

পরে দেবী শেঠি জানান, সৌরভের হৃদপিণ্ড ভালো আছে। হৃদপিণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। ২০ বছরের যুবকের মতোই তাঁর হৃদপিণ্ড আছে। পুরোপুরি সুস্থ আছেন তিনি। সৌরভের জীবনযাপনের ধরনেও কোনও পরিবর্তন আসবে না। এমনকী সৌরভ ম্যারাথনে দৌড়াতে পারবেন। এমনকী বিমান চালানোর ধকলও নিতে পারবেন। সঙ্গে তিনি যোগ করেন, সৌরভের মতো একজন প্রাক্তন খেলোয়াড় মাত্র ৪৮ বছরেই হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ায় হৃদরোগের উপর বাড়তি নজর দিচ্ছেন সারা বিশ্বের মানুষ। সবাই ভাবছেন যে সৌরভের মতো একজন প্রাক্তন খেলোয়াড়ের কীভাবে মাত্র ৪৮ বছরেই হৃদরোগ হতে পারে। কিন্তু ভারতের মতো দেশে এটাই বাস্তব ছবি। ভারতীয়রা যে জীবনযাপনে অভ্যস্ত, তাতে এটা সাধারণ বিষয়। কোনও মানুষ কতটা ফিট, কতটা শক্তিশালী, তার উপর নির্ভর করে না।

গত শনিবার সৌরভ মৃদৃ হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পরই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সভাপতির ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, ২০০২-০৩ সাল নাগাদ শেষবার বিসিসিআই প্রেসিডেন্টের সম্পূর্ণ শারীরিক পরীক্ষা হয়েছিল। তারপরও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ছিলেন সৌরভ। ২০০৮ সালে অবসর নেন। তা সত্ত্বেও মাঝের বছরগুলিতে খুঁটিনাটি শারীরিক পরীক্ষা হয়নি। মঙ্গলবার সেই নিয়মিত শারীরিক পরীক্ষার উপর জোর দিয়েছেন দেবী শেঠি। তিনি জানান, সকলেরই দু'বছরে কমপক্ষে একবার শারীরিক পরীক্ষা করানো উচিত। তাহলে হৃদরোগের আগাম সংকেত মিলবে। এড়ানো য়াবে হৃদরোগ। তাঁর মতে, ন্যূনতম সিটি স্ক্যানও করতে পারতেন সৌরভ। উডল্যান্ডস হাসপাতালে সিইও রুপালি বসুর মতে, বছরে একবার শারীরিক পরীক্ষা করা উচিত।

আগামীনিউজ/নাসির