ঢাকা : মাশরাফি বিন মুর্তজার অধিনায়কত্ব শেষ হয়ে গেল। তাঁকে আর লাল-সবুজের জার্সি গায়ে শুক্রবারের (৬ মার্চ) পর থেকে নেতৃত্ব দিতে দেখা যাবে না। বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন। বোর্ড চাইছিল নড়াইল এক্সপ্রেস অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিক। তাই এক প্রকার বাধ্য হয়েই নেতৃত্ব ছেড়ে দিলেন মাশরাফি। শুক্রবারের পর থেকে তিনি একজন সাধারণ খেলোয়াড় হিসেবে গন্য হবেন। বাংলাদেশ দলে সুযোগ পাওয়ার জন্য তাঁকেও পারফর্ম করতে হবে।
মাশরাফি আগেই জানিয়েছেন তাঁর অধিনায়কত্ব ছাড়ার সঙ্গে খেলা ছাড়ার কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি খেলা চালিয়ে যাবেন। এখন দেখার তরুণদের সঙ্গে লড়াই করে মাশরাফি ফের জাতীয় দলে সুযোগ পান কিনা।
মাশরাফির গোটা ক্রিকেট ক্যারিয়ার নানা চড়াই উৎরাইয়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। বারবার তাঁকে চোট ছিটকে ফেলে দিয়েছে। সেখানে থেকে উঠে দাঁড়িয়ে আবার দলে ফিরেছেন। প্রথম দফার নেতৃত্ব পেয়েই হারাতে হয়েছে সেই চোটের কারণে। দ্বিতীয় ধাপে নেতৃত্ব পেয়ে এখনো অবধি ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক মাশরাফি। গোটা ক্রিকেট দুনিয়ায় নড়াইল এক্সপ্রেস এক অনুপ্রেরণার নাম। হার না মানার মানসিকতা তাঁকে দেখে তরুণরা শিখতে পারে।
বোর্ড এবং মাশরাফির দুরত্ব সবারই জানা। বোর্ড চাইছিল তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানাতে। কিন্তু মাশরাফির বোর্ডের এই চাওয়া পছন্দ হয়নি। তিনি পরিস্কার করে দেন, তার ক্যারিয়ার, তিনিই সিদ্ধান্ত নেবেন। এরপর এই সিরিজই মাশরাফির জন্য নেতৃত্বের শেষ বলে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়। তিনিও সেটা গ্রহণ করে খেলা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে অটল থাকলেন।
এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য মাশরাফিকে অনেক ভাবতে হয়েছে। তিনি বলেন, ‘একটা মানুষকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য অন্তত কিছুটা সময় দেওয়া উচিত। ১৫ বছর ধরে এটা আমার জীবনের অংশ। আমার জীবনের সবচেয়ে বড় অংশ। আমার যত অর্জন বা জীবনে যা কিছু করেছি, সব এ খেলা দিয়ে। আমার জীবনের অন্যতম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ এটা। ফলে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে চাইলে আমার সময় দরকার হতো।’
এই সিদ্ধান্ত যে দলের ভালোর জন্যই সেটাও জানিয়েছেন মাশরাফি। তাঁর কথায়, ‘আমরা মাঠে নামি বাংলাদেশের জন্য। এটা বড় দায়িত্ব। সবার আবেগ জড়িয়ে থাকে। এটা পারিবারিক কোনো ব্যাপার হলে সেটা নিয়ে আলোচনার সুযোগ থাকত।’
আগামীনিউজ/রবিউল/জাকিউল