জিম্বাবুয়েকে বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে শেষের শুরু মাশরাফির

ক্রীড়া প্রতিবেদক মার্চ ১, ২০২০, ০৮:১৭ পিএম

ঢাকা : জিম্বাবুয়ের এই দলটা যে বাংলাদেশের চেয়ে কতটা পিছিয়ে সেটা বোঝা গেল প্রথম ওয়ানডেতেই। ১.৬৯ রানে হেরে গেল আফ্রিকার দলটি। বাংলাদেশের ৩২১ রানের জবাবে জিম্বাবুয়ে ৩৯.১ ওভারে ১৫২ রানেই গুটিয়ে গিয়েছে। এই জয়ে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশ ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল। দ্বিতীয় ম্যাচ একই ভেন্যুতে, ৩ মার্চ।

বাংলাদেশের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে জিম্বাবুয়ের কোনো ব্যাটসম্যানকেই সেট হতে দেননি মাশরাফি-সাইফউদ্দিনরা। অনূর্ধ্ব-১৯ দল থেকে আসা অভিষিক্ত ওয়েসলি মাদেভেরে কেবল ৩৫ রান করতে পেরেছেন। শেষ দিকে মুতামবুজি (২৪) না টানলে জিম্বাবুয়েকে আরো বড় লজ্জায় পড়তে হতে। আর বলার মতো রান করতে পেরেছেন সিকান্দার রাজা (১৮) এবং মুতামবামি (১৭)। বাকিদের অবস্থা তথৈবচ।

দীর্ঘদিন পর ফিরেই চমক দেখিয়েছেন সাইফউদ্দিন। শুরুতে জোড়া আঘাত তিনিই করেছেন। ৩ উইকেট নিয়েছেন ২২ রানে। তবে শেষটা করেছেন মাশরাফি মুতামবুজিকে তুলে নিয়ে। এই সিরিজেই নড়াইল এক্সপ্রেস শেষবার অধিনায়কত্ব করছেন। মাশরাফি ৩৫ রানের বিনিময়ে তুলে নিয়েছেন ২টি উইকেট। সমসংখ্যক উইকেট পেয়েছেন মিরাজও ৩৩ রান দিয়ে। একটি করে উইকেট পেয়েছেন তাইজুল ও মোস্তাফিজুর।

এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে লিটন দাসের সেঞ্চুরি ও মোহাম্মদ মিঠুনের ফিফটির সুবাদে ৬ উইকেটে ৩২১ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে এটাই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সংগ্রহ। ২০০৯ সালে বুলাওয়েতে ৮ উইকেটে  ৩২০ রান করেছিল বাংলাদেশ।

বিশ্বকাপের পর এই ম্যাচ দিয়ে ফের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরলেন মাশরাফি। টসে জিতে তিনি ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। তামিম দারুন শুরু করেও ইনিংস লম্বা করতে ব্যর্থ হয়েছেন।

অভিষিক্ত মাধবেরের শিকার হন এই ওপেনার। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি তামিম। ফেরার আগে  ৪৩ বলে ২৪ রান করেন তিনি।  তামিমের বিদায়ের পর নতুন সঙ্গী নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে ইনিংস মেরামতের লড়াই শুরু করেন লিটন দাস। ১৯.১ ওভারে স্কোরবোর্ডে ১০০ রান জমা করে বাংলাদেশ।

শান্তকে নিয়ে যখন সেঞ্চুরির দিকে এগোচ্ছেন ঠিক তখনই নিজেদের দ্বিতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। মুতুমবোজির বলে এলবিডব্লুয়ের শিকার হয়ে ফেরার আগে ৩৮ বলে একটি চার আর ২ ছক্কায় ২৯ রান করেন শান্ত। এরপর মুশফিকের সাথে জুটি গড়ে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ওয়ানডে সেঞ্চুরি তুলে নেন লিটন দাস। ডোনাল্ড ত্রিপানোর ছোঁড়া ৩৪তম ওভারের প্রথম বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে সেঞ্চুরি পুর্ণ করেন এই ওপেনার। 

লিটন সেঞ্চুরি তুলে নেয়ার পরপরই বিদায় নেন মুশফিকুর (১৯)। এর খানিক পরেই পেশিতে টান লাগায়  রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে ফিরে যান সেঞ্চুরিয়ান লিটনও। এরপর মাহমুদউল্লাহর সাথে যোগ দেন মোহাম্মদ মিঠুন। দলীয় ২৭৪ রানের মাথায় ক্রিস্টোফার এমপোফুর বলে এলবিডব্লু হন মাহমুদউল্লাহ। ফেরার আগে ২৮ বলে দুই চার ও এক ছক্কায় ৩২ রান করেন তিনি। এরপর ক্যারিয়ারের পঞ্চম ফিফটি তুলে নেন মিঠুন। ৫০-এর পরই তিনি  আউট হয়ে যান এমপোফুর বলে। শেষ দিকে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন সাইফউদ্দিন। ১৫ বলে তিন ছক্কায় করেন অপরাজিত ২৮ রান। ৬৮ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন এমপোফু।

আগামীনিউজ/রবিউল/জাকিউল