ঢাকা : টেস্ট ক্রিকেট কতটা কঠিন সেটা বেশ ভালোভাবেই টের পাচ্ছেন সাইফ হাসান। রাওয়ালপিন্ডিতে ০ এবং ১৬ রানের পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে করতে পারলেন মোটে ৮। এই হলো সাইফের তিন ইনিংসের পরিসংখ্যান। সাইফের বিদায়ে খানিকটা চাপে পড়ে বাংলাদেশ। সেখান থেকে বাংলাদেশ দলকে উদ্ধার করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন তামিম ইকবাল ও নাজমুল হোসেন শান্ত। এ প্রতিবেদন লেখার সময় দুজনই অবিচ্ছিন্ন রয়েছেন। বাংলাদেশ ২৪.৫ ওভারে স্কোরবোর্ডে ৮১ রান তুলেছে। তামিম ৩৭ ও শান্ত ৩৫ রানে ব্যাট করছেন।
এরআগে ইনিংসের চতুর্থ ওভারের শেষ বলে আঘাত হানেন নওচি। রিগিস চাকাভাকে ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেছেন সাইফ হাসান (৮)। রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে ৪ উইকেট হাতে নিয়ে দ্বিতীয় দিনে ব্যাট করতে নেমে স্কোরবোর্ডে আর মাত্র ৩৭ রান যোগ করতে সমর্থ হয় জিম্বাবুয়ে। প্রথম ইনিংসে তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৬৫ রান। শেষ ব্যাটসম্যান হিসাবে রেগিস চকাভাকে (৩০) শিকার করেন তাইজুল ইসলাম। পেসার আবু জায়েদ ও স্পিনার নাঈম হাসান ৪টি করে উইকেট নিয়েছেন। এছাড়া ২টি শিকার করেন তাইজুল।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে জিম্বাবুয়েকে বেশ ভালোভাবেই এগিয়ে নিয়েছেন প্রিন্স মাসভুরে ও অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন। স্কোরবোর্ডে ৭ রান উঠকেই ওপেনার কেভিন কাসুজাকে (২) ফিরিয়েছেন আবু জায়েদ। চাপে পড়ে যাওয়া জিম্বাবুয়েকে উদ্ধার করেছে দ্বিতীয় উইকেট জুটি। মাসুভুরে ও আরভিন মিলে যোগ করেন ১১১ রান। এরপরই আঘাত হানেন নাঈম হাসান। কট অ্যান্ড বোল্ড করে ফেরত পাঠান মাসভুরেকে। তার আগেই ফিফটি তুলে নিয়েছেন এই ওপেনার। ১৫২ বলে নয়টি চারের সৌজন্যে করেছেন ৬৪ রান।
এরপর তৃতীয় আঘাতটিও হেনেছেন নাঈম। বোল্ড করে ফিরিয়েছেন অভিজ্ঞ ব্রেন্ডন টেলরকে (১০)। অবশ্য সিকান্দার রাজার সঙ্গে আরভিনের জুটি বড় হতে দেননি সেই নাঈমই। রাজাকে ফিরিয়েছেন লিটন দাসের ক্যাচ বানিয়ে। তার আগে তিনি ৬২ বল খেলে করেছেন ১৮ রান। একপ্রান্ত আরভিন আগলে রাখলেও অন্যপ্রান্ত থেকে তেমন সঙ্গ পাননি। মারুমাকে এলবিডব্লুয়ের ফাঁদে ফেলে দ্বিতীয় উইকেট শিকার করেছেন আবু জায়েদ।
এর মাঝেই ক্যারিয়ারের তিন নম্বর সেঞ্চুরি তুলে নেন আরভিন। মনে হচ্ছিল, তিনি প্রথম দিনটা নির্বিঘ্নেই পার করবেন তখনই তাঁকে বোল্ড করলেন নাঈম। দিনের খেলা শেষ হতে দুই ওভার বাকি ছিল। আরভিন আউট হওয়ায় প্রথম দিন শেষে বলা যায় বাংলাদেশই এগিয়ে। ২২৭ বলে তিনি ১০৭ রানের ইনিংসটি সাজিয়েছেন ১৩টি চারের সৌজন্যে।
বাংলাদেশ দল : তামিম ইকবাল, সাইফ হাসান, নাজমুল হোসেন, মুমিনুল হক, মোহাম্মদ মিঠুন, মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস, আবু জায়েদ, ইবাদত হোসেন, তাইজুল ইসলাম, নাঈম হাসান।
জিম্বাবুয়ে দল : প্রিন্স মাসভরে, কেভিন কাসুজা, ক্রেগ আরভিন, ব্রেন্ডন টেলর, টিমাইসেন মারুমা, সিকান্দার রাজা, রেজিস চাকাভা, ডোনাল্ড ট্রিপিয়ানো, ভিক্টর নিয়াওচি, আইনসলে এন্দলোভু, চার্ল্টন শুমা।
আগামীনিউজ/রবিউল/জাকিউল