ঢাকা : প্রথম দিনে জিম্বাবুয়ের ইনিংসে হাইলাইটস ক্রেইগ আরভিনের সেঞ্চুরি। পক্ষান্তরে বাংলাদেশের বোলিংয়ে বড় ভুমিকা নিয়েছেন অফ স্পিনার নাঈম হাসান। অবশ্য শুরুটা করে দিয়েছিলেন আবু জায়েদ। তারপর যা করার একাই করেছেন নাঈম। তাই প্রথম দিন শেষে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে ছিল সমানে সমান। দিন শেষে জিম্বাবুয়ে ৬ উইকেটে তুলেছে ২২৮ রান। অপরাজিত রয়েছেন রিগিস চাকাভা ৯ রান নিয়ে। অবশ্য ডোনাল্ড ত্রিপানো রানের খাতাই খুলতে পারেননি।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে জিম্বাবুয়েকে বেশ ভালোভাবেই এগিয়ে নিয়েছেন প্রিন্স মাসভুরে ও অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন। স্কোরবোর্ডে ৭ রান উঠকেই ওপেনার কেভিন কাসুজাকে (২) ফিরিয়েছেন আবু জায়েদ। চাপে পড়ে যাওয়া জিম্বাবুয়েকে উদ্ধার করেছে দ্বিতীয় উইকেট জুটি। মাসুভুরে ও আরভিন মিলে যোগ করেন ১১১ রান। এরপরই আঘাত হানেন নাঈম হাসান। কট অ্যান্ড বোল্ড করে ফেরত পাঠান মাসভুরেকে। তার আগেই ফিফটি তুলে নিয়েছেন এই ওপেনার। ১৫২ বলে নয়টি চারের সৌজন্যে করেছেন ৬৪ রান।
এরপর তৃতীয় আঘাতটিও হেনেছেন নাঈম। বোল্ড করে ফিরিয়েছেন অভিজ্ঞ ব্রেন্ডন টেলরকে (১০)। অবশ্য সিকান্দার রাজার সঙ্গে আরভিনের জুটি বড় হতে দেননি সেই নাঈমই। রাজাকে ফিরিয়েছেন লিটন দাসের ক্যাচ বানিয়ে। তার আগে তিনি ৬২ বল খেলে করেছেন ১৮ রান। একপ্রান্ত আরভিন আগলে রাখলেও অন্যপ্রান্ত থেকে তেমন সঙ্গ পাননি। মারুমাকে এলবিডব্লুয়ের ফাঁদে ফেলে দ্বিতীয় উইকেট শিকার করেছেন আবু জায়েদ।
এর মাঝেই ক্যারিয়ারের তিন নম্বর সেঞ্চুরি তুলে নেন আরভিন। মনে হচ্ছিল, তিনি প্রথম দিনটা নির্বিঘ্নেই পার করবেন তখনই তাঁকে বোল্ড করলেন নাঈম। দিনের খেলা শেষ হতে দুই ওভার বাকি ছিল। আরভিন আউট হওয়ায় প্রথম দিন শেষে বলা যায় বাংলাদেশই এগিয়ে। ২২৭ বলে তিনি ১০৭ রানের ইনিংসটি সাজিয়েছেন ১৩টি চারের সৌজন্যে। ৩৬ ওভার বল করে ৬৮ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন নাঈম হাসান। ২ উইকেট শিকার করেছেন আবু জায়েদ ৫১ রানে।
বাংলাদেশ দল : তামিম ইকবাল, সাইফ হাসান, নাজমুল হোসেন, মুমিনুল হক, মোহাম্মদ মিঠুন, মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস, আবু জায়েদ, ইবাদত হোসেন, তাইজুল ইসলাম, নাঈম হাসান।
জিম্বাবুয়ে দল : প্রিন্স মাসভরে, কেভিন কাসুজা, ক্রেগ আরভিন, ব্রেন্ডন টেলর, টিমাইসেন মারুমা, সিকান্দার রাজা, রেজিস চাকাভা, ডোনাল্ড ট্রিপিয়ানো, ভিক্টর নিয়াওচি, আইনসলে এন্দলোভু, চার্ল্টন শুমা।
আগামীনিউজ/রবিউল/জাকিউল