ঢাকা: বাংলাদেশের ক্রিকেটে নতুন ইতিহাস তৈরি হলো। আইসিসির কোনো বিশ্বকাপে বাংলাদেশ কখনো ফাইনাল খেলতে পারেনি। এবার অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে শুধু ফাইনালই খেলল না বিশ্বচ্যাম্পিয়নও হয়ে গেল বাংলাদেশ। দেশের ক্রিকেট ইতিহাসে এত বড় ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি। আকবর আলীর হাত ধরে নতুন ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ। আর গোটা দেশ আনন্দের জোয়ারে ভাসছে।
অথর্ব আঙ্কোলেকরের বলটা মিড উইকেটে ঠেলেই ব্যাট উঁচিয়ে ছুটতে শুরু করে দিলেন রাকিবুল হাসান। ডাগ আউট থেকে মাহমুদুল হাসান জয়, তৌহিদ হৃদয়রা তত ক্ষণে মাঠের ভিতরে ঢুকে পড়েছেন। এতদিন পর বাংলাদেশের অধরা স্বপ্ন সত্যি হলো। এরকম একটা জয়ের জন্যই তো প্রতীক্ষায় ছিল গোটা দেশ। সাকিব আল হাসান, মেহেদি হাসান মিরাজরা যা করে দেখাতে পারেননি, আকবর আলিরা তাই করে দেখালেন। ২৩ বল বাকি থাকতে তিন উইকেটে ভারতকে হারাল বাংলাদেশ।
যুব বিশ্বকাপের ফাইনালে প্রথমে ব্যাট করে ভারত তোলে ১৭৭ রান। তিন উইকেটে ভারতকে হারিয়ে ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ। রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালই করেছিলেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার ইমন ও তানজিদ। খুব সহজেই তাঁরা সামলাচ্ছিলেন ভারতীয় বোলারদের। বাংলাদেশের দুই ওপেনার স্কোর বোর্ডে ৫০ রান তোলার পরে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তানজিদ (১৭)। রবি বিষ্ণোইকে মারতে গিয়ে তানজিদ ফেরেন কার্তিক ত্যাগীর হাতে ক্যাচ দিয়ে। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে মাহমুদুল হাসান জয়ের সেঞ্চুরিতে ম্যাচ জিতেছিল বাংলাদেশ। এ দিন রবি বিঞ্চুয়ের গুগলিতে বোল্ড হয়ে গেলেন জয় (৮)। তৌহিদ হৃদয়কেও এলবিডব্লিউ করলেন বিষ্ণু। শাহদাত হোসেনকেও ফেরালেন তিনি। তাঁর স্পিন সামলাতে পারেননি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা।
টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ উইকেটের (১৭টি) মালিক তিনি। সুশান্ত মিশ্রর বলে যশস্বীর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন শামিম হোসেন (৭)। সুশান্তর বলে অভিষেক দাস মারতে গিয়ে ক্যাচ দিলেন কার্তিক ত্যাগীর হাতে। মারাত্মক চাপে থাকা বাংলাদেশকে বাঁচানোর জন্য ফের নেমেছিলেন ওপেনার ইমন। পায়ে টান ধরায় তিনি উঠে গিয়েছিলেন। দলের বিপদে ফের নামেন ইমন। বেশ ভালো সামলাচ্ছিলেন তিনি। যশস্বীর বলে আকাশের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হলেন ইমন (৪৭)। কিন্তু একপ্রান্তে আকবর ছিলেন আশার প্রতিক হয়ে। শেষ অবধি তিনিই বাংলাদেশকে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন বানাতে বড় ভুমিকা রাখলেন। বাংলাদেশ এখন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন।
আগামীনিউজ/রবিউল/জাকিউল