ঢাকা : ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে জর্জিনা রদ্রিগেজের প্রথম দেখা হয়েছিল ২০১৬ সালে। প্রথম সাক্ষাতেই একে অপরের প্রেমে পড়েন তারা। সেই থেকে এখন অবধি এই রমণীর প্রেমেই মত্ত হয়ে আছেন বর্তমান বিশ্বের পর্তুগীজ ফরোয়ার্ড।
স্পেনের জাঁকা নামক শহরে ১৯৯৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন জর্জিনা রদ্রিগেজ। তার মা ছিলেন স্প্যানিশ। আর বাবা আর্জেন্টিনার নাগরিক। আকর্ষনীয় ফিগারের এই স্প্যানিশ সুন্দরীর নাচের উপর রয়েছে বিশেষ দক্ষতা। পড়াশোনা করেছেন লন্ডনে। শিক্ষার্থী থাকাকালে রেস্টুরেন্টে খাবার পরিবেশনের কাজও করেছেন তিনি। এরপর স্পেনে ফিরে এসে ইতালিয়ান তৈরি পোশাকের ব্রান্ড ‘গুসির’ একটি স্টোরে সেলসম্যান হিসেবে কাজ করা শুরু করেন জর্জিনা রদ্রিগেজ।
২০১৬ সালে ঘটনাচক্রে একদিন শ্যুটিংয়ের কাজে সেই দোকানে যান রোনালদো। সেখানে প্রথম দেখাতেই জর্জিনার প্রেমে পড়ে যান পর্তুগজি সুপারস্টার। একই অবস্থা জর্জিনারও। তিনিও প্রথমবার দেখেই রোনালদোর প্রেমে পড়েন। এরপর দুজনের মধ্যে পরিচিত। পরিচয় থেকে গড়ে ওঠে বন্ধুত্ব। কিন্তু দুজনেরই যেহেতু পরস্পরের প্রতি ভালোলাগা ছিল, তাই বন্ধুত্বটা প্রেমে রূপ নিতে বেশি সময় লাগেনি।
রোনালদোর সাথে বন্ধুত্ব থেকে প্রেমে জড়ানোর কথা সম্প্রতি জানিয়েছেন স্প্যানিশ মডেল জর্জিনা রদ্রিগেজ। ইতালিয়ান সাময়িকী গ্রাৎসিয়াকে জর্জিনা রদ্রিগেজ বলেছেন, ‘তার শরীর, তার সৌন্দর্য...আমি তো তাকে দেখে রীতিমতো কাঁপছিলাম!’
স্প্যানিশ মডেল বলেন, ‘তার উচ্চতা, তার শরীর, তার সৌন্দর্য আমার হৃদয় কেড়ে নিয়েছিল। তার সামনে দাঁড়িয়ে আমি তো কাঁপছিলাম। তবে আমার চোখে (প্রেমের) শিখা জ্বলে উঠেছিল।’
এই মুহুর্তে রোনালদোর সন্তানের মা জর্জিনা। তবে এখনও প্রথম দেখার সেই অনুভুতির কথা ভুলতে পারেন না ২৬ বছর বয়সী এই মডেল। তিনি বলেন, ‘আমি খুব লাজুক। এ কারণেই নিজের সামনে এমন একজন সুপুরুষ দেখে আমার নড়াচড়া বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। প্রথম দেখাতেই সে আমার হৃদয় খুব গভীরভাবে স্পর্শ করে গিয়েছিল।’
ভালো লাগার সেই বিষয়টি পরে অবশ্য রোনালদোকে জানাতে পেরেছিলেন। ভালোবাসার সম্পর্ক তৈরি করতে এরপর যা করার তা রোনালদোই করেছেন বলে জানালেন জর্জিনা, ‘সেই প্রথম দেখায় রোনালদোকে আমার ভালো লাগার পর সে আমার জন্য সবকিছুই করেছে, আমাকে ভালোবেসেছে।’
সাধারণ একজন দোকানকর্মী হয়ে ফুটবল বিশ্বের একজন মহাতারকার সঙ্গে প্রেম চালিয়ে যাওয়াটা অবশ্য সহজ ছিল না জর্জিনার জন্য। রোনালদো তাঁকে ভালোবাসেন—এটা জানাজানি হয়ে যাওয়ার পর জর্জিনা খুঁজে বেড়াতে থাকে সংবাদমাধ্যমের চোখ। সংবাদমাধ্যমের এত আগ্রহ দেখে একটা সময় নিজেকে অনিরাপদও ভাবতে শুরু করেন জর্জিনা।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘একটা সময় এটা আর সহ্য হচ্ছিল না। আমি নিজেকে পাল্টেছি, এরপরও তারা আমার পিছু নিত। আমি নিরাপদে বাইরে যেতে পারতাম না, সব সময় কেউ না কেউ আমার ছবি তোলার চেষ্টা করত। এ কারণে আমি সব সময় নিজের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকতাম।’
তবে মাঠে যখন রোনালদোকে দেখতেন, সব কষ্ট ভুলে যেতেন জর্জিনা, ‘ম্যাচের সময় একমাত্র সেই আমাকে রোমাঞ্চিত করে। সর্বকালের সেরা ফুটবলারের সঙ্গিনী হতে পেরে আমি ভাগ্যবতী। সে যখন খেলে আমি আবেগে ভেসে যাই। সে অপ্রতিদ্বন্দ্বী।
জর্জিনার আগমনের আগেই রোনালদো তিন সন্তানের জনক ছিলেন। কিন্তু তাদের কারোরই মায়ের নাম প্রকাশ করেননি তিনি। তবে জর্জিনার ক্ষেত্রে এমনটি হয়নি। দেড় বছর আগে জর্জিনা জন্ম দেন রোনালদোর চতুর্থ সন্তানের। এবার আর মায়ের পরিচয় গোপন রাখেননি পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী তারকা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মা ও কন্যার ছবি পোস্ট করে রোনালদো নিজেই বিষয়টি ভক্তদেরকে জানান। শুধু তাই নয়, রোনালদো জর্জিনাকে দিয়েছেন তার সব সন্তানদের মায়ের স্বীকৃতি।
আগামীনিউজ/জেডআই