৭ কোটি টাকা ব্যয়, তিন লাখ অ্যাথলেট; প্রাপ্তি ৩৫ জন!

নিজস্ব প্রতিবেদক ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৪, ০৩:৫৯ পিএম

ঢাকাঃ আগামীকাল বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শুরু হচ্ছে দু'দিন ব্যাপী জাতীয় অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতা। আজ দুপুরে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ৪৭তম জাতীয় অ্যাথলেটিক্সের সংবাদ সম্মেলন ছাপিয়ে আলোচনায় গত বছর শেখ কামাল আন্তঃস্কুল ও মাদ্রাসা অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতা।

গত বছর প্রায় সাত কোটি টাকা ব্যয়ে দেশব্যাপী অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতা আয়োজন করেছিল। যা বাংলাদেশের অ্যাথলেটিক্সে বড় এক ঘটনা। ঐ প্রতিযোগিতায় প্রায় সাড়ে তিন লাখ প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে। এত সংখ্যক প্রতিযোগীর মধ্যে ফেডারেশনের প্রাপ্ত ‘ট্যালেন্ট’ সংখ্যা মাত্র ৩৫ জন। 

চূড়ান্ত পর্যায়ে আসা অ্যাথলেটদের মধ্যে থেকে ফেডারেশন এই বাছাই করেছে। এক বছর আগে বাছাই করা অ্যাথলেটদের দিয়ে আগামীকাল শুরু হচ্ছে দীর্ঘমেয়াদী ক্যাম্প। এত কোটি টাকা ব্যয়ে এতদিন পর দীর্ঘমেয়াদী প্রশিক্ষণ শুরু কেন, এই প্রশ্ন সংবাদ সম্মেলনে এসেছে ঘুরেফিরে। ফেডারেশনের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ জায়েদুল আলম এর ব্যাখ্যায় বলেন, ‘স্কুল-মাদ্রাসায় পরীক্ষা ও নির্বাচনসহ নানা কারণে এটি বিলম্ব হয়েছে।’

সংবাদ সম্মেলনে তার পাশে বসা ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুর রকিব (মন্টু ) যোগ করেন, ‘আমাদের ক্যাম্প করার মতো সেই রকম সুযোগ সুবিধা নেই। বিকেএসপি’তে অনুমতি নিতে হয়, আরও আনুষাঙ্গিক নানা সমস্যাও ছিল।’

গত বছর কয়েক প্রায় সাত কোটি টাকা ব্যায়ে দেশব্যাপী অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়। ঐ প্রতিযোগিতায় প্রায় সাড়ে তিন লাখ প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে। এত সংখ্যক প্রতিযোগির মধ্যে ফেডারেশনের প্রাপ্ত ট্যালেন্ট সংখ্যা মাত্র ৩৫ জন। 
কোটি টাকা ব্যয়ে এত বড় আয়োজনের মূল লক্ষ্যই ছিল প্রতিভাবান অ্যাথলেট তুলে আনা। সেই প্রতিভাবান অ্যাথলেটদের প্রশিক্ষণ, আবাসনের বিষয়টি নিশ্চিত না করেই এই প্রকল্প কেন সেই প্রশ্নও উঠেছে। এই ব্যাপারে ফেডারেশনের সহ-সভাপতি বলেন, ‘আপনাদের প্রশ্নগুলো যৌক্তিক ও আমারও। আমাদের পরিকল্পনা সামনে আরও বিশদভাবে করব। তবে অ্যাথলেটিক্স নিয়ে কাজ চলছে। আগামীকাল সভাপতি মহোদয়ের কাছ থেকে আপনার আরো কিছু জানতে পারবেন।’

এক বছর বিরতি দিয়ে জাতীয় অ্যাথলেটিক্স আবার মাঠে গড়াচ্ছে। অ্যাথলেটিক্সের তীর্থস্থান বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ফিরছে। অ্যাথলেটরা নতুন ট্র্যাকের জন্য মুখিয়ে আছেন বলে জানান ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক, ‘প্রত্যেক অ্যাথলেট খুব অপেক্ষায় আছেন এই মিটের জন্য। আমরাও প্রস্তুত। এবারের প্রতিযোগিতায় ফটোফিনিশিং, ইলেকট্রনিক টাইমিং সবই থাকছে। এজন্য ট্যাকনিক্যাল অফিসারের সংখ্যাও বেশি।’

আমাদের ক্যাম্প করার মতো সেই রকম সুযোগ সুবিধাও নেই। বিকেএসপি’তে অনুমতি নিতে হয় আরও আনুষাঙ্গিক নানা সমস্যাও ছিল।
বাংলাদেশের দ্রুততম মানব ইমরানুর রহমান এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য ইংল্যান্ড থেকে এসেছেন। এবারের জাতীয় চ্যাম্পিয়নশীপে ৪০ ইভেন্টে চার শতাধিক অ্যাথলেট অংশগ্রহণ করবেন। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম এখনো সংস্কার চলায় হ্যামার থ্রো অনুষ্ঠিত হবে শনিবার আর্মি স্টেডিয়ামে।

এমআইসি/