ঢাকাঃ ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির গ্রাহকের অর্থ আত্মসাৎ ও অর্থপাচারের মামলায় ডেসটিনি গ্রুপের চেয়ারম্যান সাবেক সেনাপ্রধান হারুন-অর-রশিদ ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমীনসহ অপর আসামিদের বিরুদ্ধে করা মামলার রায় ঘোষণার জন্য ১২ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত। রোববার (২৭ মার্চ) ঢাকার চতুর্থ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলম রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য এ দিন ধার্য করেন।
মামলায় ডেসটিনির এমডি রফিকুল আমীনসহ আসামি ৪৬ জন। তাদের মধ্যে ৮ জন জামিনে আছেন। অন্য আসামিরা পলাতক রয়েছেন। কারাগারে থাকা আসামিরা হলেন- ডেসটিনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. রফিকুল আমীন, চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন, লে. কর্নেল (অব.) মো. দিদারুল আলম ও মো. জিয়াউল হক মোল্লা ও সাঈদুল ইসলাম খান (রুবেল)।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক মো. মোজাহার আলী সরদার ও সহকারী পরিচালক মো. তৌফিকুল ইসলাম ২০১২ সালের ৩১ জুলাই রাজধানীর কলাবাগান থানায় মানি লন্ডারিং আইনে মামলা দুটি করেন। ২০১৪ সালের ৪ মে দুদকের উপ-পরিচালক মো. মোজাহার আলী সরদার গ্রাহকদের চার হাজার ১১৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে পাচারের অভিযোগে ডেসটিনির ৫১ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন। এর মধ্যে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির মামলায় ৪৬ জন এবং ডেসটিনি ট্রি প্লানটেশন লিমিটেডে দুর্নীতির মামলায় ১৯ জনকে আসামি করা হয়। দুই মামলাতেই আসামি হারুন-অর-রশিদ ও রফিকুল আমিন ।
মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০০৮ সাল থেকে মাল্টি পারপাস কো-অপারেটিভ প্রোজেক্টের নামে ডেসটিনি বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করেছিল ১ হাজার ৯০১ কোটি টাকা। সেখান থেকে ১ হাজার ৮৬১ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয় বলে দুদকের অনুসন্ধানে ধরা পড়ে। ওই অর্থ আত্মসাতের ফলে সাড়ে ৮ লাখ বিনিয়োগকারী ক্ষতির মুখে পড়েন। ডেসটিনি ট্রি প্লান্টেশন প্রোজেক্টের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ২ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। এর মধ্যে ২ হাজার ২৫৭ কোটি ৭৮ লাখ ৭৭ হাজার টাকা আত্মসাৎ করা হয়। এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হন সাড়ে ১৭ লাখ বিনিয়োগকারী।
অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়েছে, ডেসটিনি গ্রুপের নামে ২৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বেশ কয়েকটি ছিল নাম সর্বস্ব। আসামিরা প্রথমে প্রোজেক্টের টাকা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের হিসাবে জমা করতেন। তারপর বিভিন্ন ব্যাংকের হিসাবে তা স্থানান্তর করা হতো। দুদক ৩৪টি ব্যাংকে এমন ৭২২টি হিসাবের সন্ধান পায়, যেগুলো পরে জব্দ করা হয়। ২০১৬ সালের ২৪ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। মামলায় চার্জশিটভুক্ত ৩০৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ২০২ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে।
তবে ডেসটিনি ২০০০ মাল্টি লেভেল কোম্পানির দুর্নীতি দমন মামলার চার্জশিটভুক্ত পলাতক আসামি প্রকাশ্যেই করছে অবৈধ এম এল এম ব্যবসা, সরকারি প্রতিষ্ঠানের নাম ও লোগো ব্যবহার করে বিক্রি করছে করোনার ও যৌন উত্তেজক ক্ষতিকর সামগ্রী , প্লট বিক্রি, 'ক্রাউন বাজার' নামে ডিলারশীপ প্রদান ও অতি লাভজনক বিনিয়োগের নামে করছে প্রতারণা আর সংগৃহীত অর্থ পাচার করছে মালয়েশিয়া ও দুবাইয়ে।
কলাবাগান থানার মামলা নাম্বার ৩৩(৭)/১২ এবং দুর্নীতি দমন বিভাগের মানি লন্ডারিংযের বিশেষ জজ আদালতের বিশেষ মামলা নাম্বার ১৭/ ১৬ এর চার্জশিট ভুক্ত পলাতক আসামি এ.এইচ.এম আতাউর রহমান রেজা, যিনি বর্তমানে ক্রাউন টাচ গ্লোবাল লিঃ নামক আরও একটি অবৈধ মাল্টিলেভেল প্রতিষ্ঠানের কর্নধার এবং মাওয়া রোডে ধরিএী প্রোপার্টিজ লিঃ এর এমডি হিসেবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
বাংলা মটরের মত অভিজাত এলাকায় রুপায়ন টাউয়ারের ৭তলায় তিন লাখ টাকা ভাড়ায় বিলাসবহুল সুসজ্জিত অফিস এবং শামছুন্নার কমপ্লেক্স,৬-এ,৩১/সি, তোপখানা রোড, সেগুন বাগিচায় আরও একটি অফিস নিয়ে প্রশাসনের নাকের ডগায় চালাচ্ছেন তার এই অবৈধ ও প্রতারনামুলক কারবার।
জানা যায়, ইকর্মাস নামক প্রতারনা বানিজ্য প্রশাসনের নজরে এলে সাম্প্রতিক তিনি তার অফিস রূপায়ান টাওয়ার থেকে গুটিয়ে নিয়ে সেগুনবাগিচায় একই কায়দায় প্রতারনা মূলক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
এ এইচ এম আতাউর রহমান ওরফে ক্রাউন রেজা, পিতাঃ মৃত সারোয়ার রহমান, মাতাঃ মৃত জোসনা বেগম, স্থায়ী ঠিকানাঃ গ্রামঃ সেমড়া, পোস্টঃচান্দুরা, থানাঃ বিজয় নগর, জিলাঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়া, জাতিয় পরিচয় পত্র নং ১২১১৩২৮৪০৯৩৮৪, পাসপোর্ট নাম্বার- এ এইচ এমডি আতাউর রহমান- বি কে০৮৬৩৪১৬, মোবাইল নাম্বার ০১৬৩০৩১৪১৯৬ এছাড়াও তিনি ০১৬২৯৮৭৪২৩৭, ০১৭০১৭৩৭৭৬৬০ এবং ০১৭১১৩৩৫৮৫৩ মোবাইল নাম্বারগুলো ব্যবহার করে থাকেন। এই এ.এইচ.এম আতাউর রহমান রেজা, ওরফে ক্রাউন রেজা, যিনি বর্তমানে ক্রাউন টাচ গ্লোবাল লিঃ নামক প্রতিষ্ঠানের কর্নধার এবং মাওয়া রোডে ধরিএী প্রোপার্টিজ লিঃ এমডি হিসেবে বহাল তবিয়তে প্রতারণামূলক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন ঢাকার প্রাণকেন্দ্র বাংলামটর ও সেগুন বাগিচায়।
ক্রাউন রেজা নামে খ্যাত এই ব্যক্তি ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেডের একজন ক্রাউন এক্সিকিউটিভ এবং ডেসটিনি মাল্টি-পারপাস কোঅপারেটিভ এর কোষাধক্ষ ছিলেন। যিনি বিলুপ্ত ডেসটিনি ২০০০ লিঃ কোম্পানির দুর্নীতি মামলার একজন ফেরারী আসামী হিসেবে পলাতক আছেন। যেখানে ডেসটিনি ২০০০ লিঃ এর অর্থ- আত্মসাৎ মামলায় প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার সাজা প্রাপ্ত হয়ে জেল খাটছেন সেই অবস্থাতেও তিনি প্রশাসনকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দিখিয়ে দিব্বি ঘুরে বেডাচ্ছেন এবং অবৈধ ব্যবসা ও ভয়াবহ প্রতারনার মাধ্যমে বিদেশে অর্থ পাচার করছেন। এছাড়া তিনি ধরিএী প্রোপার্টিজ লিঃ এর জমি এবং প্লট বিক্রির নামে শতশত মানুষদের নিকট থেকে কোটি কোটি টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করেই যাচ্ছেন । প্লট বুঝে না পেয়ে গ্রাহক তাদের টাকা ফেরত চাইলে নানা রকম ভয়ভীতি এবং গুম করার হুমকি দিচ্ছে ফলে তারা ভীষণ আতঙ্কে আছে। এই ল্যান্ডের নামে জনগন থেকে যে টাকা আমানত রাখা হচ্ছে এর বিরুদ্ধেও তার নামে একাধিক মামলা ও রয়েছে বলে এক সূত্রে জানা গেছে কিন্তু অজ্ঞাত কারনে প্রশাসন তার কোন প্রকার ব্যবস্থা নিচ্ছে না ফলে ভুক্তভোগীরা ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এসব অবৈধ টাকায় তার রয়েছে ঢাকায় নামে বেনামে একাধিক দামি ফ্লাট ও বিলাসবহুল গাড়ি।
নামে-বেনামে ব্যবসা পরিচালনা
প্রতারনার কৌশল হিসেবে কখনো তার নিজ নামে, কখনো তার স্ত্রী , বোন, ভাগ্নে বা আত্মীয়ের নামে তিনি ব্যবসা পরিচালনা করেন। ইতিপূর্বে তিনি মৈত্রী প্রপারটিস,( নোয়াখালী টাউয়ার, পুরানা পল্টন), সেরাজেম( মালিবাগ), নিরাপদ হাসপাতাল ( মালিবাগ মোড়, সি আই ডি অফিসের পাশে), পুষ্প ধারা হাউজিং( সিদ্ধেশরী),উদ্যোগ প্রপারটিজ লিঃ, ৪৫ বিজয় নগর ঢাকা সহ আরও অনেক কোম্পানি খুলে বিভিন্ন ভাবে মানুষকে প্রতারনা করে সর্ব শান্ত করেছেন।
ভুয়া শোরুমঃ কাওরান বাজার থেকে বিভিন্ন কোম্পানির পণ্য কিনে এনে অফিসে সাজিয়ে “ক্রাউন বাজার” নামে ভুয়া শোরুম দেয়ার কথা বলে প্রত্যেকের কাছ থেকে ২৫ লাখ টাকা করে নিয়েছে এবং এখন ও নিচ্ছে । ইতিমধ্যেই ৮ জনের থেকে ২ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে এক তথ্যে জানা গেছে।
বিনিয়োগ এর নামে অন্যের কোম্পানির প্রকল্প ও ফ্যাক্টরি দেখিয়ে প্রতারণা
এই ক্রাউন রেজা বিভিন্ন সময় যেসব কোম্পানির থেকে পণ্য কিনে উচ্চ মূল্যে বিক্রি করেছেন সেই সব কোম্পানিতে তার মালিকানা রয়েছে বলে বিনিয়োগকারিদের কাছে প্রচার এবং তাদের নিয়ে ঐ কোম্পানির খামার ও কারখানা পরিদর্শন করিয়ে বিশ্বাস অর্জন করে প্রতারণা করেছেন ফলে ঐ কোম্পানি তার সাথে ব্যবসা বন্ধ করে আর মালামাল বিক্রি করছে না।
মালায়েশিয়ায় অর্থ পাচার
শুধু তাই নয় ইতিমধ্যেই তিনি মালেয়শিয়ায় জিটিসিএল নামে আর ও একটি কোম্পানি খুলে পাচার করেছেন বিপুল পরিমান অর্থ । যাদের নিয়ে তিনি এই চক্র গড়ে তুলেছেন তাদের অনেকেই ডেসটিনি মামলার পলাতক আসামি এবং ডায়মন্ড বলে খ্যাত । কুয়ালালামপুরের অভিজাত এলাকা বলে খ্যাত বুকিত বিন্তাং এ পরিচালনা করছেন একটি বিলাস বহুল অফিস আর সেখানের দায়িত্বে আছেন তারই অতীত কুকর্মের সহযোগী এবং আদম ব্যাপারী জাকির। ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে জানা যায় ইতিমধ্যেই অন্তত ৫০ থেকে ১০০ কোটি টাকা তিনি বাংলাদেশ থেকে নিয়ে গেছেন সেখানে। তার এই অপকর্মের সহযোগী হিসেবে দেশে বিদেশে রয়েছে আরও ৯ জন। তারা মিলে গঠন করেছে একটি পরিচালনা কমিটি ।
ডেসটিনির স্টাইলেই তার নতুন প্রতারণা
এই আতাউর রহমান রেজা এমএলএম এর নাম করে উচ্চ মুনাফার লোভ দেখিয়ে জনগনের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। এমন অনেক শতশত বিনিয়োগকারী আছে যারা তাদের ভিটে বাড়ী বিক্রির টাকা, পেনশনের টাকা, জমানো ব্যাংকের টাকা উক্ত প্রতিষ্ঠানটিতে বিনিয়োগ করেছেন, কিন্ত উচ্চ মুনাফার লোভ দেখিয়ে প্রতিষ্ঠানটি যে পরিমান টাকা নিয়েছে তা অফেরযোগ্য বলে তিনি দাবি করেন এবং গুম করার হুমকি দেন। এই শতশত বিনিয়োগকারীরা সঠিক মুনাফা না পেয়ে এখন রাস্তায় রাস্তায় প্রহর গুনছে।
অপর সূত্রে জানা গেছে অতিসাম্প্রতিক তিনি ডেসটিনির মতই মিডিয়া / পত্রিকা বের করার প্রস্তুতি নিয়েছেন ।
জানা গেছে, ৫০০ এর অধিক বিনিয়োগকারি ও প্রতারিত ভুক্তভোগি রয়েছে এর মধ্যে ১৯জন বিনিয়োগকারীর তালিকা, মোবাইল নাম্বার এবং কয়েক কোটি টাকার বিনিয়োগের প্রমান পত্র এই প্রতিবেদকের হাতে রয়েছে।
ঋণ খেলাপী
একটি বেসরকারি ব্যাংক থেকে নিয়েছে আড়াইকোটি টাকা এবং সেখানে খেলাপি হয়ে মামলায় ঝুলছে এবং তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি আছে বলে জানা যায়। বর্তমানে ডাচ বাংলা ব্যাংক, কাওরান বাজার শাখায় ক্রাউন টাচের লেনদেন রয়েছে।
করোনাই তার ডিজিটাল প্রতারনার হাতিয়ার
পৃথিবী যখন মহাসংকটময় অবস্থায় নিপতিত,দেশ যখন ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে, প্রশাসন যখন করোনা মোকাবালায় ব্যস্ত, এমতবস্থায় এই প্রতারক চক্র ও দুষ্কৃতিকারী তাদের সাধারন জনগকে ভয়াবহ প্রতারনার ফাঁদে আটকে ফেলছে। এই কাজে রেজা তার মোবাইল নাম্বার ০১৬৩০৩১৪১৯৬, ইমু, ওয়াটসেপ, ভাইবার, ফেসবুক, ওয়েবসাইট, ইমেইল, টিভি চ্যানেল ইত্যাদি ব্যবহার করে ডিজিটাল প্রতারনা করছে।
যেসব মামলায় তার নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা
তার বিরুদ্ধে কলাবাগান থানায় ডেসটিনির মানিলন্ডারিং ও দুর্নীতি দমন বিভাগের মামলা নম্বর ১৭/২০১৬, কাফরুল থানার মামলা নম্বর ৬(১২)/২০২০, রমনা থানার মামলা নম্বর ১৭(২)/২১ এবং সিএমএম কোর্ট ঢাকায় সিয়ার মামলা নম্বর ৮/২০২১। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন থানায় তার নামে রয়েছে অসংখ্য জিডি। এত মামলা ও জিডি ঘাড়ে নিয়ে তিনি দিব্যি প্রকাশ্যেই প্রকারণা মূলক এমএলএম ও ইকর্মাসের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। যে কোন সময় পালিয়ে যাবেন মালয়েশিয়ায়ঃ তিনি ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকবার মালয়েশিয়ায় গেছেন এবং ভিসা লাগিয়ে রেখেছেন যাতে যে কোন সময় পালিয়ে যাবেন বলে গ্রাহকরা আশংকা করছেন।
প্রশ্ন হলো, ডিজিটাল বাংলাদেশে এই সব প্রতারকদের প্রশ্রয় দিচ্ছে কে? এবং ফেরারী আসামী প্রশাসনকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে কিভাবে দিব্বি এখনো অবৈধ ব্যবসা প্রকাশ্যে পরিচালনা করে যাচ্ছে? সেটাই প্রশাসনের কাছে জনগনের প্রশ্ন? এবং ফেরারী আসামী কিভাবে দেশের বাহিরে যাওয়া আসা করে এই কথা জনগন জানতে চায়। ভুক্তভোগীদের প্রশাসনের নিকট জোর দাবি যে এ.এইচ.এম আতাউর রহমান রেজা ওরফে ক্রাউন রেজা যাতে দেশ থেকে পালিয়ে যেতে না পারে এবং তাঁর বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
এসএস