ঢাকাঃ সারা দেশে চলছে কঠোর লকডাউন, কিন্তু এই কঠোর লকডাউনের মাঝেও প্রতিনিয়তই সারাদেশে সড়ক দূর্ঘটনায় মারা যাচ্ছে শত শত মানুষ। কিন্তু যেই বিষয়টি সব থেকে বেশি ভাবনার, তা হলো প্রতিনিয়তই ঘটছে এ্যাম্বুলেন্স দুর্ঘটনা। পত্র পত্রিকা খুললেই দেখা যায় এ্যাম্বুলেন্সের সাথে ধাক্কায় সড়কে আহত বা নিহত হচ্ছে মানুষ। কিন্তু লকডাউনের সময়েই কেন বাড়ে এ্যাম্বুলেন্সের এত আধিক্য?
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সারাদেশে কঠোর লকডাউনে সমস্ত প্রকার গণপরিবহণ বন্ধ। আর এই সুযোগেই লকডাউন চলাকালে বিভিন্ন অসাধু রেন্ট-এ কার ব্যবসায়ীরা তাদের ভাড়া মাইক্রোবাস গুলোতে ভুয়া স্টিকার এবং সাইরেন্স লাগিয়ে এ্যাম্বুলেন্স বানিয়ে সারাদেশ ব্যাপী ভাড়ায় যাত্রী বহন করছে। এতে করে সড়ক-মহাসড়কে লকডাউনের সময়ে অন্য সময়ের থেকে বেশি এ্যাম্বুলেন্সের আধিক্য দেখা যায়।
আরও জানা যায়, তারা বাহিরে স্টিকার এবং সাইরেন্স লাগানো ছাড়াও ভিতরে একটি অক্সিজেন সিলিন্ডার রেখে দেয়, যেন প্রশাসনের কারও কাছে ধরা পরতে না হয়। তাছাড়াও তারা যাত্রী বহন করার সময়ে যাত্রীদের ভিতর থেকেই কাউকে না কাউকে রোগী সাজিয়ে নিয়ে যায়। এতে করে দেশের চলমান কঠোর লকডাউন ছাড়াও লকডাউন ঘোষণার সাথে সাথেই বিভিন্ন মহাসড়কে এ্যাম্বুলেন্সের পরিমাণ বেড়ে যায়। আর এই সকল ভুয়া এ্যাম্বুলেন্সের কারণে দিন দিন এ্যাম্বুলেন্স দূর্ঘটনার পরিমানও বেড়ে যাচ্ছে।
এই বিষয়ে একজন বিশেষজ্ঞ বলেন, আসলে এ্যাম্বুলেন্স হচ্ছে সব থেকে জরুরী পরিবহণ, যখন রাস্তায় কোন প্রশাসন বা আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তার চোখে পরে তখন তাদের এত কিছু বিচার করার বা দেখার সময় থাকে না। তারা দ্রুত এ্যাম্বুলেন্স গুলোকে ছেড়ে দেয়। এই সুযোগটাই ব্যবহার করছে কিছু অসাধু লোক। যাদের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে দেশের মানুষ। আমার মনে হয় সরকারের উচিৎ অতি দ্রুত এই বিষয়ের উপর নজরদারি বাড়ানো এবং পদক্ষেপ গ্রহন করা। না হলে সরকারের এই কঠোর লকডাউন কার্যকর করা কোনভাবেই সম্ভব হবে না। এতে করে করোনা যেমন ছড়িয়ে পড়ছে সারাদেশে এবং পাশাপাশি সড়ক দুর্ঘটনাও বাড়তে থাকবে।