দিনাজপুর: উত্তরের জেলা দিনাজপুর প্রসিদ্ধ লিচু আর সুগন্ধি চালে । কিন্তু এবার লিচুর ফলন নিয়ে কিছুটা শংকায় রয়েছেন কৃষকেরা। বসন্ত শেষ আর গ্রীষ্মের আগমনের সাথে সাথে এই সুস্বাদু ও রসালো ফল লিচুর আগমন ঘটে। সুস্বাদু, রসালো, মিষ্টি পাশাপাশি স্বাদ আর পুষ্টিতে অতুলনীয় দিনাজপুরের লিচু।
দিনাজপুরের বিরল উপজেলায় লিচু বাগান গুলোতে পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন বাগান মালিকরা। গাছে ঝুলছে লিচু আর বাগান গুলো যেন মধু মাসকে আমন্ত্রণ জানাতে প্রস্তত।
লিচু বাগানের মালিক মানিক ইসলাম জানান, এবার ফলন খুব কম। আমার ৪টি বাগান প্রায় সব বাগানের অবস্থা একই রকম। তিনি জানান বোম্বে আর মাদ্রাজী লিচুর গাছ বেশি থাকে বাগান গুলোতে। অন্যান্য জাতের যেমন চায়না ৩, চায়না ৬, বেদেনা, কাঠালি এই গুলো কম তবে এগুলোর ফলন যে খুব ভাল তা নয়, মোটামুটি। কেন এমন হল জানতে চাইলে তিনি বলেন আবহাওয়া মুলত এর কারণ।
মুকুল আসার সময় বৃষ্টি নেই, আবার যা মুকুল আসছে রৌদ্রে পুরে গেছে। যতটুকু ফল আছে সে গুলো অন্তত টিকিয়ে রাখার এই আর কি, আবার শিলা বৃষ্টি আর ঝড়ের কথাও মনে করিয়ে দিলেন।
লিচু বাগান মালিক আব্দুল খালেক জানান, আমার দুইটা বাগান আছে কি হবে জানি না? অনেক খরচ হয়েছে কিন্তু ফলন কেমন হবে তা বলা যাচ্ছে না।
দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহা পরিচালক মো জাফর ইকবাল আগামী নিউজকে বলেন এবার জেলায় ৫ হাজার ৬১০ হেক্টর জমিতে লিচু আবাদ হচ্ছে। ১৩ উপজেলার মধ্যে বিরল, সদর, বীরগঞ্জে লিচু আবাদ বেশি। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৩ হাজার ৪৮৪ মেট্রিক টন।
তিনি আগাম জাতের (যেমন–বোম্বে,মাদ্রাজী) ফলন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন অক্টোবর মাসে কোন বৃষ্টি না হওয়ার কারনে লিচুর জন্য আবহাওয়া অনুকূল নয়। তবে বাগান মালিকদের সেচ দেওয়ার পরামর্শ প্রদানের কথা তিনি জানান। তবে বেদেনা, চায়না–৩,চায়না–৬, কাঠালী লিচুর ফলন নিয়ে কোন শঙ্কা নেই বলে জানান কারন হিসেবে বলেন এখন বৃষ্টি মাঝে মাঝেই হচ্ছে।
লিচু সংরক্ষণ ও বিদেশে রপ্তানির বিষয়ে তিনি বলেন, সংরক্ষণের বা বিদেশে রপ্তানির প্রক্রিয়াজাত করনের কোন ব্যবস্থা নেই। তবে করোনার কারনে সারাদেশে লিচু পৌছানোর জন্য ব্যবস্থা গ্রহনের পরিকল্পনা আছে।
আগামীনিউজ/নাহিদ