ঢাকাঃ ফুটপাত! পায়ে চলার পথ। অথচ এই পথের অনেকটাই রয়েছে বিভিন্ন ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠানের দখলে। রাজধানীর দুই সিটি কর্পোরেশনের মেয়রদ্বয় বাসযোগ্য ঢাকা নির্মাণে কাজ করছেন হরদম। অথচ প্রতিনিয়তি রাজধানীবাসীর দুর্ভোগ হচ্চে যে চলাচলের পথে সেটিই আজ দখলে। মাননীয় মেয়রগণ, জনদুর্ভোগ লাঘবে আগে ফুটপাত দখল মুক্ত করার আহবান সাধারণ জনতার।
রাজধানীতে ফুটপাত দখল করে চলছে রমরমা বাণিজ্য। শুধু হকার নয়, সরকারি সেবা প্রদানকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দখলেও রয়েছে রাজধানীর ফুটপাত। ফলে রাস্তায় চলতে গিয়ে চরম বিড়ম্বনায় পড়েন পথচারীরা। ফুটপাত দখলমুক্ত রাখতে আইনের কঠোর প্রয়োগ জরুরি বলে মত দিয়েছেন নগরবিদরা।
রাজধানীর ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, মগবাজার, মিরপুর, পুরান ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায়, দীর্ঘদিন ধরেই ফুটপাত দখল করে হকাররা চালিয়ে যাচ্ছেন ব্যবসা। এমনিতেই গাড়ির চাপ তার ওপর ফুটপাত দখল। দখলমুক্ত করতে সিটি করপোরেশনের অভিযানে কাজ হচ্ছে না। তাই ঝুঁকি নিয়েই রাস্তার পাশ দিয়ে হাঁটতে হচ্ছে পথচারীদের।
গুলিস্তান, মতিঝিল ও পল্টন এলাকার ফুটপাতকে ঘিরে মাসে কোটি কোটি টাকার বাণিজ্য হয়ে আসছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ফুটপাত দখলমুক্ত করার অভিযানের পরও বন্ধ হয়নি ফুটপাতের এ অবৈধ বাণিজ্য। এসব অবৈধ বাণিজ্যের পিছে রয়েছে প্রশাসন, স্থানীয় মাস্তান, সিটি কর্পোরেশনের কিছু অসাধু কর্মকর্তাসহ বহুজন।
এদিকে হকারদের উচ্ছেদ না করতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে সুবিধাভোগী একাধিক চক্র। জানা গেছে ,মতিঝিল-গুলিস্তান এলাকার ফুটপাতে চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত পাঁচটি হকার্স সংগঠন। এগুলোর বেশিরভাগের কোনো নিবন্ধন নেই।
নগরপরিকল্পনা বিদদের মতে, ফুটপাত হচ্ছে জনগণের চলার জন্য। কিন্তু ফুটপাতের সুবিধা পথচারীরা পান না। ফুটপাত মেরামত করা হয় না। তদারকিও হয় না। ফলে নগরবাসী প্রচুর ভোগান্তিতে পড়ছেন।
এ বিষয়ে নগরবিদ মোবাশ্বের হোসেন বলেন, যে শহরে জনগণ আনন্দের সঙ্গে হাঁটতে পারে, সে শহর হচ্ছে সভ্য শহর। সভ্য শহর বানানো খুব সহজ, শুধু নিয়মতান্ত্রিক অবস্থায় সবকিছু নিয়ে আসা। অবৈধভাবে ফুটপাত দখলের সঙ্গে এর পরিকল্পনাতেও ঘাটতি আছে। শুধুমাত্র উচ্ছেদ অভিযানের মাধ্যমেই এ সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়।
আগামীনিউজ/সোহেল