ঢাকাঃ বাংলাদেশে সারাবছরই দূর্ঘটানার মৌসুম, এদেশে দূর্ঘটনা একটা স্বাভাবিক বিষয়, বলা যেতে পারে, খুন,ধর্ষণ, সড়ক দূর্ঘটনা, অগ্নিকাণ্ড এসব আমাদের সমাজের জেনেটিকস উপাদানে পরিণত হয়েছে।
২০২০ সালের প্রথম দশ দিনে শুধু ঢাকা শহরেই ৬জন ধর্ষিত হয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি হয়েছে । এসব ঘটনা প্রতিদিনই কয়েক পার্সেন্ট হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে, এসব ঘটনার কোন পদক্ষেপ আগে থেকে নেয়া হয় না, কিন্তু ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর যদিও কোন ব্যাবস্থা নেয়া হয়, তা-ও আইনি জটিলতায় আটকা পড়ে থাকে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, ঘটনার আগে কেন ব্যবস্থা নয়, পরে কেন নেয়া হয়?
সড়ক দূর্ঘটনা: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বিশ্বব্যাপী প্রতিবছর প্রায় সাড়ে ১৩ লক্ষ মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান।
বাংলাদেশেও সড়কে মৃত্যুর মিছিল নিত্যদিনের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০১৮ সালে নিরাপদ সড়কের দাবিতে ব্যাপক ছাত্র বিক্ষোভ হলেও পরিস্থিতির কোন দৃশ্যত পরিবর্তন নেই। মঙ্গলবারও ঢাকায় একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী বাস চাপায় নিহত হওয়ার পর আবার শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। দাবী পুরনোই - নিরাপদ সড়ক চাই।
কিন্তু এসব সড়ক দুর্ঘটনায় যেসব জীবন ঝরে যায়, তাদের জীবনের আসলে মূল্য কত? অথবা সারাজীবনের জন্য পঙ্গুত্ব বরণ করে যারা বেঁচে থাকেন, তাদের এই ভোগান্তির আর্থিক মূল্যই বা কত?
টাকার অঙ্কে এই হিসেব অনেকে না-ই করতে চাইবেন। তবে একটি সড়ক দুর্ঘটনায় মোট কত টাকার ক্ষতি হয়, তার হিসেব বের করা হয়েছে বাংলাদেশেরই এক সরকারি জরিপে।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক ও মহাসড়ক অধিদপ্তর ২০১৬-১৭ সালের এক জরিপে দুর্ঘটনার শিকার হওয়া কোন কর্মক্ষম ব্যক্তির অর্থনৈতিক ক্ষতি, চিকিৎসার খরচ, জীবনের মূল্য, গাড়ির ক্ষতি এবং প্রশাসনিক ও অন্যান্য সব হিসেব থেকে এই চিত্র তুলে ধরেছে। সর্বসাকুল্যে একটি প্রাণঘাতী সড়ক দুর্ঘটনা থেকে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার মতো অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়। তবে মারাত্মক দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা এবং সাধারণ দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে এক লক্ষ টাকার বেশি ক্ষতি হয়।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান বলেছেন, মালিক-শ্রমিকদের বেপরোয়া গাড়ি চালনা, চালকদের ওপর বাড়তি চাপ ও পদচারীদের অসচেতনতার কারণেই বেশির ভাগ দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। এ ছাড়া ত্রুটিপূর্ণ সড়ক ও সেতু, সময়মতো মেরামত না হওয়া, মেয়াদোত্তীর্ণ যানবাহন এবং চালকদের অদক্ষতার কারণেও দুর্ঘটনা ঘটে থাকে।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বিশ্বব্যাপী প্রতিবছর প্রায় সাড়ে ১৩ লক্ষ মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান।
বাংলাদেশেও সড়কে মৃত্যুর মিছিল নিত্যদিনের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০১৮ সালে নিরাপদ সড়কের দাবিতে ব্যাপক ছাত্র বিক্ষোভ হলেও পরিস্থিতির কোন দৃশ্যত পরিবর্তন নেই। মঙ্গলবারও ঢাকায় একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী বাস চাপায় নিহত হওয়ার পর আবার শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। দাবী পুরনোই - নিরাপদ সড়ক চাই।
কিন্তু এসব সড়ক দুর্ঘটনায় যেসব জীবন ঝরে যায়, তাদের জীবনের আসলে মূল্য কত? অথবা সারাজীবনের জন্য পঙ্গুত্ব বরণ করে যারা বেঁচে থাকেন, তাদের এই ভোগান্তির আর্থিক মূল্যই বা কত?
টাকার অঙ্কে এই হিসেব অনেকে না-ই করতে চাইবেন। তবে একটি সড়ক দুর্ঘটনায় মোট কত টাকার ক্ষতি হয়, তার হিসেব বের করা হয়েছে বাংলাদেশেরই এক সরকারি জরিপে।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক ও মহাসড়ক অধিদপ্তর ২০১৬-১৭ সালের এক জরিপে দুর্ঘটনার শিকার হওয়া কোন কর্মক্ষম ব্যক্তির অর্থনৈতিক ক্ষতি, চিকিৎসার খরচ, জীবনের মূল্য, গাড়ির ক্ষতি এবং প্রশাসনিক ও অন্যান্য সব হিসেব থেকে এই চিত্র তুলে ধরেছে। সর্বসাকুল্যে একটি প্রাণঘাতী সড়ক দুর্ঘটনা থেকে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার মতো অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়। তবে মারাত্মক দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা এবং সাধারণ দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে এক লক্ষ টাকার বেশি ক্ষতি হয়।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান বলেছেন, মালিক-শ্রমিকদের বেপরোয়া গাড়ি চালনা, চালকদের ওপর বাড়তি চাপ ও পদচারীদের অসচেতনতার কারণেই বেশির ভাগ দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। এ ছাড়া ত্রুটিপূর্ণ সড়ক ও সেতু, সময়মতো মেরামত না হওয়া, মেয়াদোত্তীর্ণ যানবাহন এবং চালকদের অদক্ষতার কারণেও দুর্ঘটনা ঘটে থাকে।
চকবাজার অগ্নিকাণ্ড: ২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের ঢাকায় চকবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সেখানে একটি গ্যাস সিলিন্ডারের বিস্ফোরণ হতে সৃষ্ট আগুন পার্শ্ববর্তী ভবনসমূহে ছড়িয়ে পড়ে এবং বৈদ্যুতিক ট্রান্সমিটার বিস্ফোরিত হয়ে এলাকাটি বিদ্যুৎ-সংযোগবিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। দমকল বাহিনী পাঁচ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হলেও (সরকারি হিসাব মতে) ততক্ষণে ঘটনাস্থলে অগ্নিদগ্ধ হয়ে ৭৮ জন মারা যান।
এফ আর টাওয়ার অগ্নিকাণ্ড:বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার বনানীর বহুতল বাণ্যিজিক ভবন এফআর টাওয়ারে (ফারুক রূপায়ণ টাওয়ার) ২০১৯ সালের ২৮ মার্চ বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টায় অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয় । ২২ তলা ভবনের অষ্টম তলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় ও ক্রমেই সেটি অন্যান্য তলায় ছড়িয়ে পড়ে। অগ্নিকাণ্ডে ২৬ জনের মৃত্যু হয় এবং ৭০ জন আহত হন।
অগ্নিকাণ্ডের পর আগুন দ্রুত অন্যান্য তলায় ছড়িয়ে পরে। ভবনের ভেতর আটকা পরা অনেকে ভবনের কাঁচ ভেঙ্গে ও রশি দিয়ে নামার চেষ্টা করেন।[৫] এ সময় কয়েকজন নিচে পরে গিয়ে নিহত হন। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ও উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করে ফায়ার সার্ভিসের ১৭টি ইউনিট। একই সাথে বিমানবাহিনী, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও পুলিশের সদস্যরা উদ্ধারকাজে যোগ দেন।
রানা প্লাজা: দু'হাজার তেরো সালের ২৪শে এপ্রিল সকালে সাভারে আট তলা রানা প্লাজা ভেঙে পড়ে ১১শ'র বেশি পোশাক শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনা ছিল শুধু বাংলাদেশের নয়, বিশ্ব-ইতিহাসেরই অন্যতম ভয়াবহ শিল্প-দুর্ঘটনা।
কিন্তু একে কেন্দ্র করে করা মামলাগুলোর একটি ছাড়া বাকি প্রায় কোনটিরই আজও নিষ্পত্তি হয় নি।
এ ঘটনার পর মামলা হয়েছে মোট ১৪টি। এর মধ্যে রয়েছে অবহেলা-জনিত মৃত্যুর অভিযোগে পুলিশের মামলা, রাজউকের করা ইমারত নির্মাণ আইন লঙ্ঘন এবং নিহত একজন পোশাক শ্রমিকের স্ত্রীর দায়ের করা খুনের মামলা।
মূলত: ঘটনার পরেই সাভার থানা পুলিশ একটি মামলা করে। পরে একজন শ্রমিকের স্ত্রীও খুনের মামলা করলে দুটি মামলা একটিতে রূপ নেয় তদন্তের পর।
অন্য আরেকটি মামলা হয়েছিলো ভবন নির্মাণ সম্পর্কিত। বাকী এগারটি মামলা করেছিলো কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর। এসব মামলার দিকে নজর রাখছিলেন বাংলাদেশের লিগাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট। সংস্থাটির আইন শাখার উপপরিচালক মোঃ বরকত আলী বলছেন, "এসব মামলার কোনটিরই চূড়ান্ত ফল আসেনি। তবে দুদকের মামলায় সাজা হয়েছে যদিও সেটি ছিল ভিন্ন মামলা।"
"মূলত সব মামলার প্রায় আসামিরা একই। অর্থাৎ একই ব্যক্তির বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছিলো ভিন্ন ভিন্ন অভিযোগে। এখন শ্রম আদালতে এগারটি মামলা বিচারাধীন আছে। বিচারিক আদালতে ফৌজদারি মামলা ও ক্ষতিপূরণের মামলাও। অথচ রানা প্লাজার বিপর্যয়ের পরপরই 'অবহেলা জনিত' মৃত্যুর অভিযোগে মামলা করেছিলো সাভার থানা পুলিশ, যাতে রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানা ও ওই ভবনের থাকা পোশাক কারখানার মালিকসহ ২১ জনকে আসামি করা হয়৷ আর ইমারত আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সোহেল রানা ও তার পিতা সহ মোট আসামীর সংখ্যা ১৮ জন।
মর্নিং বার্ড লঞ্চ: ২৯ জুন সকালে বুড়িগঙ্গা নদীতে ময়ূর-২ লঞ্চের ধাক্কায় ঢাকা-মুন্সিগঞ্জ রুটের মর্নিং বার্ড লঞ্চটি জন যাত্রী নিয়ে ডুবে যায়।
সকাল নয়টার দিকে মুন্সিগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা দুই তলা মর্নিং বার্ড লঞ্চটি সদরঘাট কাঠপট্টি ঘাটে ভেড়ানোর আগ মুহূর্তে চাঁদপুরগামী ময়ূর-২ লঞ্চটি ধাক্কা দেয়। এতে সঙ্গে সঙ্গে তুলনামূলক ছোট মর্নিং বার্ড লঞ্চটি ডুবে যায়। তাৎক্ষণিক উদ্ধার অভিযানে নামে ফায়ার সার্ভিস, কোস্টগার্ড, নৌবাহিনীর সদস্যরা। ৩২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ধর্ষণঃ গত বছর ৫ হাজার ৪০০ নারী এবং ৮১৫টি শিশু ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়। ২০১৮ সালে শিশু ধর্ষণের মামলা ছিল ৭২৭টি এবং নারী ধর্ষণের মামলা ছিল ৩ হাজার ৯০০টি। পুলিশের হিসাব বলছে, গত বছর ধর্ষণের কারণে ১২ শিশু এবং ২৬ জন নারী মারা যান। ২০১৮ সালে এ সংখ্যা ছিল ২১ নারী ও ১৪ শিশু।
২০২০ সালের প্রথম দশ দিনে শুধু ঢাকা শহরেই ৬জন ধর্ষিত হয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি হয়েছে বলে সংবাদে জানিয়েছে দৈনিক দেশ রূপান্তর।
খেয়াল করুন,শুধু ঢাকাতেই ধর্ষণের শিকার হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৬ জন। কিন্তু আপনার কি মনে হয় না, এই ৬ জনের বাইরে আনরিপোর্টেট বা অপ্রকাশিত আরো অন্তত কয়েকটি ঘটনা রয়ে গেছে? তাহলে চলুন, হাইপোথেটিকেলি ধরে নিই, বছরের প্রথম ১০ দিনে ঢাকায় ধর্ষিত হয়েছে অন্তত ১০জন। আর ঢাকার বাইরে ৬৩ জেলায় যদি আরো ১০ জন করে ধরা হয়, তাহলে মোট সংখ্যাটা দাঁড়াবে বাইরে ৬৪০ জন। অর্থাৎ এটি হলো বছরের প্রথম ১০ দিনের পরিসংখ্যান। মাসের বাকি ২০ দিন তো এখনো বাকি। আর বছরের বাকি ১১ মাসের হিসেব করে আমিও নিজেও অসুস্থ হয়ে যেতে চাই না।
৬৪ জেলার মোট ৪৯২টি উপজেলায় গড়ে ১০টি ধর্ষণের ঘটনা ধরার দরকার নেই। প্রতি জেলায় ২টি করে ধরুণ। তাতেও ১২৮টি ঘটনা বছরের এই প্রথম দশ দিনেই ইতোমধ্যেই ঘটে গেছে বলে আশঙ্কা করা অমূলক হবে না। কিন্তু কয়টা ঘটনার কথা আপনি জানেন? নাকি আপনি বিশ্বাস করেন যে, পত্রিকায় প্রকাশ পাওয়া ঘটনাগুলোর বাইরে বাংলাদেশে আর কোনো বলাৎকারের ঘটনাই ঘটেনি?
সব ধর্ষণ কি কুর্মিটোলার মতন রাস্তার পাশে হয়? সব ধর্ষণে কি ভাটাড়ার ঘটনার মতন ধর্ষণের শিকার মেয়েটিকে নগ্ন ও রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে যায়? অনেক ঘটনাই আছে, যা চুপচাপ ঘটে। চুপচাপ ঘটা এসব ঘটনায় ধর্ষণের শিকার ব্যক্তি এবং তার পরিবার পাঁচ কানও করেন না। করতে ভয় পান। ভয় পান সামাজিক কারণে। ভয় পান আইনি মারপ্যাঁচ নিয়ে শঙ্কা-ভয় থাকার কারণে। ভয় পান থানা-পুলিশের প্রতি ভীতি-জাগানিয়া সমীহের কারণে। এর বাইরে, ঘরে-ঘরে থাকা গৃহকর্মীদের কথা ভাবুন। কত গৃহকর্মী নিয়মিতভাবে গৃহকর্তার হাতে ধর্ষিত হন? সেই পরিসংখ্যানআছে কারো কাছে? নাকি প্রকাশ পায় না বলে তারা ধর্ষিত হয় না?
আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক): আসকের ২০১৯ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, সারা দেশে ধর্ষণের ঘটনা আগের চেয়ে দ্বিগুণ বেড়েছে। গত বছর সারা দেশে ধর্ষণ ও গণধর্ষণের শিকার ১ হাজার ৪১৩ নারী ও শিশু। ২০১৮ সালে সংখ্যাটি ছিল ৭৩২। মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন: গত বছর ৯০২ শিশু ধর্ষণের শিকার হয়। ২০১৮ সালে এ সংখ্যা ছিল ৩৫৬।
বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরাম: ২০১৯ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রতি মাসে গড়ে ৮৪টি শিশু ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। এ ছাড়া এক বছরে যৌন নির্যাতন বেড়েছে ৭০ শতাংশ। গত বছর যৌন নির্যাতনের শিকার হয় ১ হাজার ৩৮৩ শিশু। ২০১৮ সালের চেয়ে গত বছর শিশু ধর্ষণ ৭৬ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ বেড়েছে।
মসজিদে এসি বিস্ফোরণ: নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা বায়তুল সালাহ জামে মসজিদে এশার নামাজের সময় এসি বিস্ফোরণ ঘটে। আহতদের অনেকেরই ৬০-৭০ শতাংশ শরীর পুড়ে গিয়েছে, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৬ জন হয়েছে।
সারাদেশের মসজিদগুলোতে অপরিকল্পিতভাবে এসি লাগাচ্ছে বা যেখানে সেখানে মসজিদ গড়ে তুলছেন, সেখানে আদৌ মসজিদ করার জায়গা কিনা বা যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নেয়া বা সেখানে নকশা করা হয়েছে কিনা; সেগুলো দেখা একান্ত প্রয়োজন। দুর্ঘটনা সত্যি খুবই দুঃখজনক।
আগামীনিউজ/এমকে