ঢাকা : চীন ও পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে কি ধরনের প্রভাব পড়তে পারে সে তথ্য চেয়ে সদস্যভুক্ত সব চেম্বার ও বণিক সমিতিকে চিঠি দিয়েছে শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। সম্প্রতি বাণিজ্য সচিবের সঙ্গে জরুরি সভার সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
এতে বাংলাদেশে শিল্প উৎপাদন আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য, সেবাখাত ও সরবরাহ ব্যবস্থায় কি ধরনের প্রভাব পড়তে পারে সে বিষয়ে মতামত চাওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি; আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে; শিল্পের মৌলিক কাঁচামাল, মধ্যবর্তী কাঁচামাল এবং ফিনিসড প্রোডক্ট; শিল্প উৎপাদন এবং সেবা খাত বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
এছাড়া আসন্ন রমজান মাসে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতিতে কি ধরনের পভাব পড়তে পারে সে বিষ ও মতামত চাওয়া হয়েছে।
সংগঠনটি সূত্র জানিয়েছে, দি ফেডারেশন অফ বাংলাদেশ চেম্বার্স অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) সদস্যভুক্ত সব ব্যবসায়ী সমিতিকে জরুরি চিঠি পাঠিয়েছে।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের সভাপতিত্বে ব্যবসায়ী নেতাদের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, করোনাভাইরাসের কারণে দেশের সার্বিক অর্থনীতিতে কী ধরনের প্রভাব পড়তে পারে এবং করণীয় নির্ধারণের জন্য দেশের বিভিন্ন চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশনের মতামত জরুরি ভিত্তিতে তিনদিনের মধ্যে জানাতে বলা হয়।
মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে গত ৬ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) বেধে দেয়া নির্ধারিত সময়ে তথ্য সংগ্রহে উদ্দেশ্যে চিঠি ইস্যু করে এফবিসিসিআই। এর ভিত্তিতে আগামীকাল (সোমবার) প্রতিবেদন পাবেন বলেও সাংবাদিকদের জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
এ প্রসঙ্গে রোববার এক অনুষ্ঠান শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বৃহস্পতিবার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। তাদের তিন দিনের সময় দিয়েছি। প্রতিবেদন হাতে পেলে সমস্যা কতটা গভীর তা বুঝতে পারবো বা বলতে পারবো।
তবে এফবিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বৃস্পতিবার চিঠি ইস্যু করা হলেও সেই দিন ছিল সপ্তাহের শেষদিন। ফলে রোববার কার্যদিবস শুরু হওয়ায় আগামীকাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করার সম্ভবনা দেখা যাচ্ছে না। এক্ষেত্রে আরও কয়েক দিন সময় লাগতে পারে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, চাহিদার ভিত্তিতে তথ্য সংগ্রহ ও প্রস্তুত করার বিষয়ে প্রতিটি সমিতি উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তথ্য যাছাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে প্রতিবেদন করতে সময় লাগতে পারে। তবে তা চলতি সম্পাহের মধ্যেই সম্পন্ন হবে বলে আশা করছেন তারা।
আগামীনিউজ/জুনায়েদ/মামুন