অন্য খেলা খেলব না আর অন্য কথা তুলবনা।
নামের খেলা খেলব আমি কুসঙ্গে আর যাবনা।
যে খেলায় খেলে বসি নারদে বাজায় বাঁশী,
শিব হলেন শশ্মান বাসী, তা কেন ভাই খেলনা
নামের খেলায় খেলবি যদি শন্তিপাবি নিরবধি
দূরে যাবে জরা ব্যাধি, শমনে ভয় রবেনা।
ভিখারী কয় খেলাও এসে নামের খেলা হেসে হেসে
বক্ষ তোর যাবে ভেসে, চোঁখে জল আর ধরবে না।
খেলাতে খেলার সাথী, পাবিরে তুই দিবা-রাতি
দয়াময় নামের বাতি হƒদে জ্বেলে রাখনা।
প্রজ্ঞাময় ব্যাখ্যাঃ
মানুষ জীবনের ক্ষেত্রে কোন সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য স্থির করতে সক্ষম হয় না। সকল ক্ষেত্রে সে বস্তুময় পৃথিবীর বিভিন্ন কামিনী কাঞ্চনের মধ্যে নিজেকে ডুবিয়ে রাখে। বস্তুময় জীবন থেকে তার মধ্যে প্রজ্ঞার শক্তি অর্জিত না হলে এই বস্তুময় পৃথিবী থেকে নিজেকে রক্ষা করতে সক্ষম হয় না। প্রজ্ঞাময় শক্তিই কেবল তাকে এই বস্তুময় আকর্ষণ থেকে মুক্ত করতে সক্ষম হয়। কারণ তার মন সবসময়ই বস্তুমূখী থাকে। তার মধ্যে কোন স্থিরতা নেই। সে কেবলই বস্তু চায়। বস্তুর বাইরে সে কখনো কোন কিছুই চিন্তা করতে পারেনা। এই ডুবন্ত অবস্থা থেকে উঠার জন্য প্রয়োজন প্রজ্ঞার মাধ্যমে প্রতিজ্ঞা।
মানুষ তার নিজেকে রক্ষা করতে হলে এক দৃঢ় প্রজ্ঞার প্রত্যয় প্রয়োজন। সে কেবলমাত্র নিজেকে রক্ষা করতে পারে ধ্বংসের হাত থেকে। তার বস্তুময় মন সর্বদা বস্তুর মধ্যে ডুবে আছে। এই ডুবন্ত অবস্থা থেকে তাকে তুলে আনতে হবে। তাকে তুলার ক্ষেত্রে পৃথিবেীতে কোন শক্তি নেই। কোন শক্তিই তাকে বস্তুর ডুবন্ত অবস্থা থেকে মুক্ত করতে সক্ষম নয়। যখন কোন সত্ত্বা কোন প্রজ্ঞাবান সত্ত্বাকে নিজের পথ প্রদর্শক হিসেবে গহণ করে এবং তার নির্দেশ মোতাবেক নিজেকে তৈরী করে তখন সে নিজেকে বস্তুময় আকর্ষন থেকে মুক্ত করতে সক্ষম হয়।
মানুষের সাধনা শক্তিই কেবল ভরসা। এই প্রজ্ঞার শক্তি সবসময় প্রতিটা মুহূর্তে তার নিকটে অত্যন্ত প্রহরীর ন্যয় তাকে পাহারা দেয়। সে তার প্রজ্ঞার শক্তিতে শক্তিশালী থাকার কারণে তার বস্তুময় মনকে সে বস্তুর মধ্যে ডুবে থাকা অবস্থা থেকে রক্ষা করে। ফলে তার মনের মধ্যে আর কোন বস্তুময় তৃষ্ণা থাকে না। সে তখন নিজের সাধনার শক্তি দ্বারা নিজেকে রক্ষা করে এবং পৃথিবীর সকল দুঃখ যন্ত্রণার ঊর্ধ্বে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে।
২৪-০২-২০২১
দুপুর ১২:৫০