ঢাকাঃ উম্মতের প্রতি প্রিয়নবী (স.)-এর ভালোবাসা ছিল অতুলনীয়। মনে-প্রাণে উম্মতের কল্যাণ কামনা করতেন নবীজি। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের কাছে তোমাদের মধ্য থেকে একজন রাসুল এসেছেন, যিনি তোমাদের বিপন্নে কষ্ট পান, তিনি তোমাদের কল্যাণকামী, মুমিনদের প্রতি দয়ার্দ্র ও পরম দয়ালু’ (সুরা তাওবা: ১২৮)।
প্রিয়নবী (স.) তাঁর প্রিয় সাহাবাদের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বিষয়ে উপদেশ দিয়েছেন। এমনি একবার সাহাবি হজরত মুয়াজ (রা.)-কে ১০টি মহামূল্যবান উপদেশ দিয়েছেন। যেগুলো উম্মাহর জীবনের পরম পাথেয়। সে উপদেশগুলো নিচে তুলে ধরা হলো।
১. যদি কখনো তোমাকে হত্যা কিংবা পুড়িয়ে ফেলাও হয়, তবুও তুমি আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরিক করবে না।
২. তোমার বাবা-মা ,পরিবার-পরিজন ধনসম্পদ হতে তাড়িয়ে দিলেও তাদের অবাধ্য হবে না।
৩. ইচ্ছাকৃতভাবে কখনোই ফরজ নামাজ ত্যাগ করো না। স্বেচ্ছায় ত্যাগ করলে তার ব্যাপারে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের কোনো দায়িত্ব থাকবে না।
৪. কিছুতেই শরাব (হারাম পানীয়) পান করবে না। কেননা তা সব অশ্লীলতার মূল।
৫. সাবধান! আল্লাহর নাফরমানি ও গুনাহ থেকে বেঁচে থাকো, কেননা নাফরমানি দ্বারা আল্লাহর ক্রোধ অবধারিত হয়ে যায়।
৬. জিহাদ থেকে কখনো পালিয়ে যাবে না, যদিও সব লোক মারা যায়।
৭. যেখানে তোমার অবস্থান, সেখানে মহামারী দেখা দিলে সেখানেই অবস্থান করবে।
৮. শক্তি-সামর্থ্য অনুযায়ী নিজের পরিবার-পরিজনের জন্য খরচ করবে (কার্পণ্য করে তাদের কষ্ট দেবে না)।
৯. সন্তানদের আদব শেখাতে শাসন করা থেকে বিরত থাকবে না।
১০. পরিবার-পরিজনকে সর্বদা আল্লাহর ভয় প্রদর্শন করবে।
(সূত্র: মুসনাদে আহমদ: ৫/২৩৮-২৪৩)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে উপরোক্ত হাদিসের উপর যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমবুইউ