বায়ুদূষণের শীর্ষে আজ দোহা, ঢাকা ১৫তম

আগামী নিউজ ডেস্ক জুলাই ১৫, ২০২৩, ১১:৪৬ এএম
ফাইল ছবি

ঢাকাঃ বায়ুদূষণের শীর্ষে আজ কাতারের দোহা। তবে দূষণের তালিকায় ১৫ নম্বরে রয়েছে রাজধানী ঢাকার নাম। শনিবার (১৫ জুলাই) সকাল ৯টা ৫ মিনিটে বায়ুদূষণের মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (আইকিউএয়ার) সূচক থেকে জানা গেছে এ তথ্য।

তালিকার শীর্ষে অবস্থান করা দোহার দূষণ স্কোর হচ্ছে ১৮১ অর্থাৎ সেখানকার বায়ুর মান ‘অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে রয়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই। শহরটির স্কোর হচ্ছে ১৭৩ অর্থাৎ সেখানকার বায়ুর মানও অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে।

তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর। এই শহরের দূষণ তালিকায় স্কোর হচ্ছে ১২৯ অর্থাৎ সেখানকার বায়ু সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর। বিশেষ করে যাদের ফুসফুসজনিত রোগ, অ্যাজমার সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য।

বায়ু দূষণের তালিকায় এর পরের অবস্থানে রয়েছে চিলির সান্তিয়াগো এবং পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গ।

অপরদিকে, রাজধানী ঢাকার অবস্থান ১৫ নম্বরে। এখানকার দূষণমাত্রার স্কোর হচ্ছে ৯৩ অর্থাৎ মাঝারি বা সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে।

৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে স্কোর থাকলে তাকে ‘মধ্যম’ বা ‘গ্রহণযোগ্য’ পর্যায় হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

অন্যদিকে একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয় এবং ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়।

এছাড়া ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।

বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে, সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।

দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।

২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদফতর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।

ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়ে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।

বুইউ