ঢাকাঃ তীব্র তাপদাহে কাহিল ঢাকাবাসী বৃষ্টির অপেক্ষাতে ছিলেন গত কয়েকদিন ধরেই। এর মধ্যে গতকাল গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হলেও তাতে প্রত্যাশা পূরণ হয়নি ঢাকাবাসীর।
শুক্রবার (৯ জুন) সকাল থেকেও ঢাকায় আকাশ মেঘলা। সকাল পৌনে ১০টার দিকে এক পশলা বৃষ্টি নামে। কিছুক্ষণ পর তা থেমেও যায়। সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটের দিকে নামে ঝুম বৃষ্টি। ভ্যাপসা গরমে ঝুম বৃষ্টি স্বস্তি ফিরে আসে নগরীতে।
রাজধানীর ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, শ্যামলী, মিরপুর, কারওয়ান বাজার, পল্টন, গুলশান, মতিঝিল, গুলিস্তান, বাড্ডা, রামপুরা, বারিধারা, গুলশান, মগবাজার, হাতিরঝিল, মুগদা, খিলগাঁও, বাসাবো, যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার সবচেয়ে বেশি ৯৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে ফেনীতে। ঢাকায় ২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। বুধবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল রাজশাহীতে।
বৃহস্পতিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে নীলফামারীর সৈয়দপুরে। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে কমে হয়েছে ৩৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বুধবার পাবনা, নওগাঁ, দিনাজপুর, যশোর, চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বইছিল, অর্থাৎ এসব অঞ্চলে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার হয়েছিল। আজ এসব অঞ্চলে তাপমাত্রা কয়েক ডিগ্রি কমে দূর হয়েছে তীব্র তাপপ্রবাহ।
শুক্রবার (৯ জুন) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক জানান, চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায়; ময়মনসিংহ, সিলেট, খুলনা ও ঢাকা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
সেইসঙ্গে চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। এ সময়ে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
রাজশাহী, নওগাঁ, সিরাজগঞ্জ, নেত্রকোনা ও সিলেট জেলাসহ রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অব্যাহত থাকতে পারে বলেও জানান তিনি।
বুইউ