ঢাকাঃ নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় গ্যাসলাইন লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় মোছা. সুখী আক্তার (২৫) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৬টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এই ঘটনায় দগ্ধ তার স্বামী আল আমীনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। এছাড়া এই ঘটনায় আরও তিনজন দগ্ধ হন।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে আবাসিক সার্জন এস এম আইউব হোসেন হোসেন জানান, মারা যাওয়া সুখী আক্তারের শরীরের ৯৮ ভাগ পুড়ে গিয়েছিল। তার স্বামী আল আমীনের শরীরের ৯৫ ভাগ পুড়ে গেছে। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে ফতুল্লার হিমু মার্কেট কাঠেরপুল এলাকার একটি বাসায় এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে সুখী আক্তারের শরীরের ৯৮ শতাংশ দগ্ধ হয়। সুখী ছাড়া দগ্ধ হন তার স্বামী মো. আল-আমিন (৩০)। এছাড়া মোছা. আলেয়া বেগম (৬৫), তার ছেলে জামাল উদ্দিন (৪৫) ও রাজমিস্ত্রী রফিক (৩৫) দগ্ধ হন। দগ্ধ অবস্থায় তাদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়। বর্তমানে সেখানে তারা চিকিৎসাধীন।
দগ্ধ আল-আমিনের চাচাতো ভাই মো. রাসেল জানান, আল-আমিন ও তার স্ত্রী সুখী আক্তার পোশাকশ্রমিক। তিনি নিজেও একজন পোশাকশ্রমিক। দুপুরে বাসায় এসে রান্না করার সময় চুলায় ম্যাচ ফায়ার করতেই পুরো কক্ষে আগুন ধরে যায়। এতে তারা দুজন এবং আশপাশের আরও তিনজন দগ্ধ হন। পরে তাদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্নে নেওয়া হয়।
তিনি জানান, আল-আমিন নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার হিমু মার্কেট কাঠেরপুল এলাকায় একটি দোতলা ভবনের একতলায় থাকতেন। এ দম্পতির একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
বুইউ