ঢাকাঃ ধামরাইয়ের ইসলামপুর এলাকার একটি বাসায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে একই পরিবারের পাঁচজন দগ্ধের ঘটনায় মোছা. মরিয়ম (২) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। শিশুটির বাবা-মাসহ আরও চারজন চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এর আগে শনিবার (৭ জানুয়ারি) ভোর ৫টার দিকে ধামরাই উপজেলার ইসলামপুর কুমড়াইল কবরস্থান সংলগ্ন দোতলা বাড়ির নিচতলায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। দগ্ধরা হলেন- মো. মনজুরুল ইসলাম (৩৫), জোসনা আক্তার (২৫), সাদিয়া আক্তার (১৯), হোসনে আরা (২০) ও মরিয়ম (২)।
দগ্ধদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসা মো. সুফিয়ান জানান, মনজুরুল ইসলাম পোশাক কারখানায় কাজ করেন। শনিবার ভোরে তার স্ত্রী জোসনা আক্তার রান্না করতে গেলে গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ হয়। পরে আগুন ছড়িয়ে গিয়ে পরিবারের পাঁচজন দগ্ধ হন। এরপর তাদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্নে নিয়ে আসি। এখন তারা চিকিৎসাধীন রয়েছেন। দগ্ধদের মধ্যে মনজুরুলের শ্যালিকা, ভাতিজি ও দুই বছরের শিশুকন্যা রয়েছে।
হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া প্রতিবেশী আরেক ভাড়াটিয়া মো. নিজাম শেখ জানান, ভোরে তারা যখন ঘুমিয়ে ছিলেন তখন বিকট একটি শব্দ শুনতে পান। এরপর ভবনের নিচতলা থেকে ধোঁয়া উঠতে দেখেন। সঙ্গে সঙ্গে নিচতলায় গিয়ে দেখেন, বাসাটির ভেতর পাঁচজন দগ্ধ অবস্থায় কাতরাচ্ছে। আর আগুনে বিছানার কিছুটা পুড়ে গেছে। পরে তাদের উদ্ধার করে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসেন।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এস এম আইউব হোসেন জানান, ধামরাই থেকে সকালে শিশুসহ ৫ জন দগ্ধ হয়ে এসেছেন। এদের মধ্যে মনজুরুলের শরীরের ৩৩ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তার স্ত্রী জোসনা আক্তারের ৪০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। এছাড়াও সাদিয়া আক্তার দগ্ধ হয়েছেন ৭৫ শতাংশ। তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বাকিদের মধ্যে হোসনে আরা ২৫ শতাংশ ও মরিয়ম ১৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তারা জরুরি বিভাগের চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানান তিনি।
মনজুরুলের বাড়ি নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায়।
বুইউ