সাবেক সরকারি কর্মকর্তার বাসায় মিললো ৫১২ লিটার সয়াবিন তেল

নিজস্ব প্রতিবেদক মার্চ ১২, ২০২২, ০২:৪৪ পিএম
ছবিঃ সংগৃহীত

ঢাকাঃ রাজধানীর লালমাটিয়া এলাকার একটি গুদাম থেকে ৫১২ লিটার সয়াবিন তেল জব্দ করেছে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ। এ ঘটনায় মজুদদার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক কর্মকর্তা লায়েকুজ্জামানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসা পুলিশ জানতে পেরেছে, রমজানে উচ্চমূল্যে বিক্রির জন্য ৫১২ লিটার তেল মজুত করেছিলেন লায়েকুজ্জামান।

শনিবার (১২ মার্চ) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) বিপ্লব কুমার সরকার।

বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, গ্রেফতারকৃত লায়েকুজ্জামান একসময় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ সহকারি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সর্বশেষ তিনি ফরিদপুরে কর্মরত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলায়। তিনি বর্তমানে থাকতেন মোহাম্মদপুরের নজরুল রোড এলাকার একটি বাসায়।

সংবাদ সম্মেলনে ডিসি বিপ্লব বলেন, লায়েকুজ্জামান তেলগুলো অধিক দামে বিক্রির আশায় মজুদ করেছিলেন। যেহেতু এ ধরনের পণ্য মজুদ করা অপরাধ এ কারণে আমরা তাকে গ্রেফতার করেছি। এ ঘটনার পর মোহাম্মদপুর থানায় তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ তাকে আদালতে প্রেরণ করব। আদালতে রিমান্ডের জন্য আবেদন করা হবে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে এ ধরনের কর্মকাণ্ড আগে ঘটিয়েছে কিনা আমরা তার কাছ থেকে জানার চেষ্টা করব।

তিনি জানান, লায়েকুজ্জামান গত ৬ মার্চ একটি পাইকারি দোকান থেকে ৪০ লিটার তেল ক্রয় করে।  পরে সেই দোকানের ভাউচার নকল করে ৪৭৮ লিটার সয়াবিন তেল বিভিন্ন দোকান থেকে কিনে আনে। তার উদ্দেশ্য ছিল সামনে রমজানে দাম বৃদ্ধি পেলে বিক্রি করবে।  যেহেতু তিনি একজন ব্যবসায়ী নন। সে কারণে আমাদের কাছে স্বীকার করেছেন সামনে যেহেতু তেলের দাম আরো বাড়বে এবং ও রমজানের বাড়তে পারে এ কারণে তিনি তেল মজুদ করেছেন।  তবে তিনি এটা করতে পারেন না, এটা একটি ফৌজদারি অপরাধ। আমরা তাকে আদালতে পাঠিয়ে দিয়েছি, আদালত রিমান্ড মঞ্জুর করলে তাকে ব্যাপকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। আমরা তার কাছ থেকে জানার চেষ্টা করব তিনি বাকি তেল গুলো কোথায় কোথায় থেকে সংগ্রহ করেছেন।  আমরা তার কোনো রাজনৈতিক পরিচয় পাইনি।

তিনি বলেন, যিনি ৪০ লিটার তেল বিক্রি করেছেন কেন বিক্রি করেন এটি একটি প্রশ্ন। ব্যক্তি পর্যায়ে‌ও ব্যবসায়িক পর্যায়ে হোক যারা তেল বিক্রি করছেন আমরা মনিটরিং করছি।‌ আমাদের বিভিন্ন টিম প্রকাশ্যে ও গোপনে কাজ করছে। আমরা যখনই কোনো তথ্য পাব অভিযান চালাবে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, যারা তেল মজুদ করছে এটা একটি ফৌজদারি অপরাধ। এ ধরনের অপরাধ থেকে তিনি খুচরা ও পাইকারী ব্যবসায়ী থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করে না।

সংবাদ সম্মেলনে তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর জোনের এডিসি মৃত্যুঞ্জয় দে সজল সহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।  

এমবুইউ