এক্সপ্রেসওয়ে: ১০ মিনিটেই হাতিরঝিল থেকে ডেমরা

ডেস্ক রিপোর্ট জানুয়ারি ৯, ২০২২, ০৫:১৩ পিএম
ছবিঃ সংগৃহীত

ঢাকাঃ হাতিরঝিল-আমুলিয়া-ডেমরা মহাসড়কের ‘মহাদুর্ভোগের’ অবসান হতে যাচ্ছে। এ মহাসড়কটি এবার চার লেনের এক্সপ্রেসওয়েতে উন্নীত করতে ‘পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি)’ ভিত্তিতে প্রকল্প হাতে নিয়েছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ)। এ রুটে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে পৌঁছাতে বর্তমানে এক ঘণ্টার মতো লাগে। প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ১০ মিনিটেই হাতিরঝিল থেকে ডেমরা যাওয়া যাবে।

রবিবার (৯ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর হোটেল কন্টিনেন্টালে এ প্রকল্পের আওতায় একটি চুক্তি হয়েছে। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব (পিপিপি) কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চায়না রোড অ্যান্ড ব্রিজ করপোরেশন (সিআরবিসি) ও চায়না কমিউনিকেশনস কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডের (সিসিসিসি) সঙ্গে এ চুক্তি হয়।

প্রকল্পের আওতায় দুটি ব্রিজ, চারটি ইন্টারসেকশন, দুটি কালভার্ট, একটি ওভারপাস, ফুটওভার ব্রিজ ও টোলপ্লাজা নির্মাণ হবে। প্রকল্পের মেয়াদকাল চার বছর। পরিকল্পিত উড়ালসড়কটি চট্টগ্রাম ও সিলেট থেকে ঢাকার কেন্দ্রে আসার বিকল্প প্রবেশদ্বার হিসেবে কাজ করবে। পাশাপাশি যানজট কমাতেও এ উড়ালসড়ক ভূমিকা রাখবে।

হাতিরঝিল-ডেমরা রুট ১৬ দশমিক ৫ কিলোমিটার। এক্সপ্রেসওয়ে চালু হলে তা ১৩ দশমিক ৫০ কিলোমিটারে নেমে আসবে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের পর এক্সপ্রেসওয়েটি ব্যবহারের জন্য ২১ বছর পর্যন্ত টোল দিতে হবে।

পিপিপি কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সুলতানা আফরোজ বলেন, বেসরকারি বিনিয়োগ উৎসাহিত করে সরকারের সড়কখাতে গুরুত্বপূর্ণ একটা প্রকল্পের চুক্তি সই হলো। দেশের উন্নয়ন ও অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’

জানা গেছে, ঢাকার যানজট কমাতে ও শহরের কেন্দ্রস্থলে একটি বিকল্প প্রবেশদ্বারের জন্য বিদ্যমান হাতিরঝিল-রামপুরা-বনশ্রী-শেখের জায়গা-আমুলিয়া-ডেমরা রুটটি এক্সপ্রেসওয়েতে পরিণত করার পরিকল্পনা করেছে সরকার। এক্সপ্রেসওয়েটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিমরাইল এলাকার সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে, যেখানে মহাসড়কে যান চলাচল নিরবচ্ছিন্ন রাখতে একটি বহুস্তরবিশিষ্ট ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হবে।

চুক্তি সই অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেগম রওশন আরা মান্নান এমপি, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, সওজের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুর প্রমুখ।

আগামীনিউজ/নাসির