জরুরি সেবার গাড়ি দেখলেই ছেড়ে দিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক নভেম্বর ৩০, ২০২১, ০২:০৫ পিএম
ছবিঃ সংগৃহীত

ঢাকাঃ রাজধানীর রামপুরায় বাসচাপায় শিক্ষার্থী মাঈনুদ্দিন নিহত হওয়ার প্রতিবাদে এবং নিরাপদ সড়কের দাবিতে রামপুরা ব্রিজ অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে শুরু হওয়া বিক্ষোভে বেশ কয়েকটি স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছে। বিক্ষোভের ফলে সড়কে যান চলাচল সীমিত রয়েছে। শুরুতে সম্পূর্ণ রাস্তা অবরোধ করলেও পরে শুধু গণপরিবহন (বাস) আটকে রেখে জরুরি সেবার গাড়ি দেখলেই ছেড়ে দিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।

প্রমাণ সাপেক্ষে জরুরি সেবার পরিবহন যেতে দিচ্ছে শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে রয়েছে অ্যাম্বুলেন্স, ডাক্তার, সরকারি জরুরি সেবায় নিয়োজিত গাড়ি, দূরপাল্লার যাত্রীদের গাড়ি।

সরেজমিনে দেখা যায়, রামপুরা ব্রিজ থেকে মেরুল বাড্ডা ইউলুপ পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এতে মতিঝিল থেকে এয়ারপোর্ট রোডে যানচলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে আছে শত শত গাড়ি।

এ সময় শিক্ষার্থীরা শ্লোগান দিয়ে বলছেন, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস, আর না আর না, আমার ভাই কেন কবরে।’

এদিকে শিক্ষার্থীদের এই অবরোধের প্রভাব রামপুরা-এয়ারপোর্ট রোড ছাড়িয়ে হাতিরঝিল ও গুলশান এলাকায় পড়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়, রামপুরা ব্রিজে শিক্ষার্থীদের অবরোধের কারণে হাতিরঝিল এলাকায় যানচলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া একইভাবে ব্যাহত হচ্ছে গুলশান এলাকার যানচলাচলও।

শিক্ষার্থীদের অবরোধের কারণে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। গণপরিবহন না পেয়ে হেঁটে হেঁটে গন্তব্যে যাচ্ছেন তারা।

আন্দোলনরত এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমাদের সহপাঠী নিহত হয়েছে। আমরা তার বিচার ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাবো। তবে, শুধু বাস আটকে রেখে, বাকি সব গাড়ির লাইসেন্স দেখে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।’

এদিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন কেন্দ্র করে সতর্ক অবস্থানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। পুলিশের একাধিক সদস্য সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শিক্ষার্থীরা যেন শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করতে পারে, সে বিষয়ে তারা খেয়াল রাখছেন। তবে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

এর আগে সোমবার (২৯ নভেম্বর) রাতে রামপুরায় বাসের ধাক্কায় একরামুন্নেসা বিদ্যালয়ের এসএসসির ফলপ্রত্যাশী মাঈনুদ্দিন নিহত হয়। তার নিহত হওয়ার ঘটনা খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে রামপুরা বাজার এলাকায় বেশ কয়েকটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়। এছাড়া সড়ক অবরোধ করে মধ্যরাত পর্যন্ত দোষীদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করেন এলাকাবাসী। এ ঘটনায় ঘাতক বাসের চালককে আটক করা হয়েছে বলে তাৎক্ষণিক জানায় পুলিশ।

আগামীনিউজ/বুরহান