দিনভর পুলিশ হেফাজতে সোহেল, বেরিয়ে বললেন ‘আর বাইকই চালাব না’

ডেস্ক রিপোর্ট সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২১, ১০:৫৭ পিএম
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকাঃ নিজের মোটরসাইকেলে আগুন লাগানোর পর থেকে প্রায় ১২ ঘণ্টা পুলিশের সাথেই ছিলেন আলোচিত পাঠাও চালক শওকত আলী সোহেল।

সোমবার রাত পৌনে ৯টার দিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনারের কার্যালয় থেকে বের হন তিনি।

কেরানীগঞ্জের স্যানিটারি ব্যবসায়ী শওকত আলী করোনা মহামারীর কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে প্রায় ৯ লাখ টাকা দেনা মাথায় নিয়ে দেড় মাস আগে মোটরসাইকেল নিয়ে রাইড সেবা দিতে নামেন।

দুই ছেলে ও এক মেয়েসহ পাঁচ সদস্যের পরিবারের জীবিকার উৎস ছিল এই বাহন। কিন্তু ট্রাফিক পুলিশের আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে সোমবার সকালে সেটিকেই তিনি পুড়িয়ে দেন তিনি।  

দিনশেষে রাতে পুলিশ কার্যালয় থেকে বের হয়ে গুলশান বিভাগের ডিসি কার্যালয়ের সামনে দাঁড়িয়ে সোহেল বলেন, ‘আর বাইকই চালাব না। সারাদিন মোটরসাইকেল চালাব আর অ্যাপ কোম্পানি ২৫ পারসেন্ট টাকা কেটে নিয়ে যাবে- এটা হয় না। আবার অ্যাপ ছাড়া বাইক চালালে পুলিশ মামলা দেবে- এইসব ক্ষোভেই আমি বাইক জ্বালিয়ে দিয়েছি।’

সকালের ঘটনা বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, সকালে বাসা থেকে নিজের পুরনো টিভিএস ফ্লেম মোটরসাইকেলটি নিয়ে বের হয়ে যাত্রী নিয়ে গুলশানে যান। লিংক রোডের মোড়ে আরেক যাত্রী তোলার জন্য কথা বলছিলেন। এমন সময় পুলিশ এসে তার মোটরসাইকেলের কাগজ চায়।

দুই সপ্তাহ আগে মামলা খাওয়ার কথা জানিয়ে আর মামলা না দিতে অনুরোধ করলেও ‘রাইড শেয়ারিং অ্যাপ’ এর পরিবর্তে সরাসরি যাত্রী তোলার অভিযোগে পুলিশ কর্মকর্তা তার বিরুদ্ধে মামলা করতে উদ্যত হন। 

এবিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম বিভাগের উপকমিশনার ফারুক হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা হয়নি। ডিসি গুলশান কথা বলার জন্য তাকে ডেকেছিলেন।