দেড় বছরেও শেষ হয়নি বান্দুরা-হাসনবাদ সড়কের সংস্কার কাজ !

মো. শামীম, নবাবগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি জুন ১৩, ২০২১, ০৬:১৭ পিএম
ছবিঃ আগামী নিউজ

ঢাকাঃ জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার বান্দুরা ইউনিয়নের বান্দুরা ব্রিজ থেকে হাসনাবাদ জপমালা গির্জা পর্যন্ত মাত্র ১ কিলোমিটার এলজিইডির সড়কটি দীর্ঘদিন যাবত সংস্কারের নামে ফেলে রাখার কারনে ভোগান্তিতে পড়েছে স্থানীয় বাসিন্দা ও পথচারীরা। সামান্য বৃষ্টি এলেই সড়কটি তলিয়ে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় এর প্রভাব পড়েছে ব্যবসাসহ বিভিন্ন খাতে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের শুরুতে মাত্র ১ কিলোমিটার  সড়কটির কাজ শুরু হয়। প্রথম দিকে দ্রুত গতিতে কাজ শুরু হলেও করোনার শুরুতে কাজ বন্ধ হয়ে যায়।

এরপর দেড় বছর অতিবাহিত হলেও পুনরায় কাজ শুরু করেনি কর্তৃপক্ষ। যদিও এখন ভাঙা স্থানগুলোতে ইটের খোঁয়া ফেলে প্রাথমিকভাবে চলাচলের উপযোগী করে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। দেড় বছরেও সংস্কার কাজ শেষ করতে না পারায় ভোগান্তিতে পড়েছে বান্দুরা ইউনিয়নের হাসনাবাদ সহ আশেপাশের বাসিন্দারা।

স্থানীয়রা আরো জানান, পুরাতন বান্দুরা বাজারে চলাচলের একমাত্র সড়ক এটি। এছাড়া বান্দুরা থেকে পাশ্ববর্তী উপজেলা দোহারে যেতে এটি সহজ পথ হওয়ায় প্রতিদিন কয়েক হাজার যানবাহন যাতায়াত করে সড়কটি দিয়ে। সড়কটিতে সামান্য বৃষ্টিতে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। যানবাহন উল্টে প্রতিনিয়ত ঘটে নানা রকম দুর্ঘটনা। দীর্ঘদিনেও সড়কটির সংস্কার না হওয়ায় ক্ষুব্ধ ভুক্তভোগী এলাকার লোকজন। এছাড়া সড়কটির কারনে পুরাতন বান্দুরা বাজারের ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন বলে জানা যায়।

অটোরিক্সা চালক ইয়ারব হোসেন বলেন, আরসিসি ঢালাই দেওয়ার জন্য রাস্তার দুই পাশে ইটের গাথুনি দেওয়া হয়েছিল। যা এখন আরো ভোগান্তি বাড়ছে পথযাত্রী ও যানবাহন চালকদের। একটু বৃষ্টি হলেই পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়।

পুরাতন বান্দুরা বাজারের ব্যবসায়ী আঃ রহিম বলেন, রাস্তাটির কারনে দুরের ক্রেতারা এখন আর বান্দুরায় কেনাকাটা করতে আসতে চায় না। তাই দ্রুত রাস্তাটি সংস্কারের দাবি জানান তিনি।

হাসনবাদ নিবাসী আন্তনী গমেজ বলেন, নবাবগঞ্জের সবচেয়ে খারাপ রাস্তা এটি। প্রতি রবিবার  প্রার্থনার দিন গির্জায় আসতে বেগ পেতে হয় খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের লোকজনদের। বৃষ্টি এলে কাদার কারনে হেঁটে আসা যায় না গাড়িতে উঠলেও নরক যন্ত্রনা মনে হয় ।

এব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী তরুন কুমার বৈদ্য বলেন, এখন জুন ক্লোজিং সময়। আগামী জুলাই মাসের শুরুতে পূনরায় টেন্ডার আহবান করা হবে আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজটি শেষ হবে। বর্তমানে চলাচলে সুবিধার্থে মেরামতের কাজ অব্যাহত রয়েছে।