ঢাকাঃ মুক্তিযুদ্ধের নাম ভাঙিয়ে সরকার জনগণের সঙ্গে প্রতারণা ও ভণ্ডামি করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, মানুষের বাকস্বাধীনতা, জীবনের নিরাপত্তা, গণতন্ত্র, স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা ও ভোটের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠায় সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অগ্রসর হতে হবে।
শুক্রবার (২০ অক্টোবর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনই জাতীয় সংকট উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ পেশাজীবী অধিকার পরিষদ।
আমীর খসরু বলেন, সরকার ভোট চুরির মাধ্যমে আরেকটা বাকশাল করার জন্য আদালতের রায় পরিবর্তন করেছে। বিচার বিভাগকে দলীয়করণ করেছে। এ রেজিমের সবাই এই ভোট চুরির প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত।
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, এখন আমাদের চূড়ান্ত আন্দোলনের সময়। এই অক্টোবর মাসেই আমাদের বিজয়ের সূত্রপাত করতে হবে। আমরা জানি এই আন্দোলনে বাধা আসবে তারপরও আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।
তিনি আরও বলেন, পাকিস্তান আমলে মানুষের লুঙ্গি খুলে চেক করতো আর বর্তমানে এই অবৈধ সরকারের পুলিশ বাহিনী মানুষের মোবাইল চেক করে দেখে সে বিএনপি, জামায়াত, গণঅধিকার নাকি আওয়ামী লীগ করে। দেশের মানুষ ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত, সরকার তাদের বিরুদ্ধে কথা বলা সব নেতৃবৃন্দের উপর দমন-পীড়ন চালাচ্ছে। দেশের মানুষকে এই সংকট থেকে উত্তরণের জন্য সবাই মিলে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
প্রফেসর লুৎফর রহমান বলেন, সরকার দেশের মানুষের গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার ধ্বংস করেছে, শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে এবং দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের অভয়ারণ্যে রূপ দিয়েছে। এখানে তারা ছাড়া আর কেউ নিরাপদ নয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন পেশাজীবী অধিকার পরিষদের সভাপতি জাফর মাহমুদ এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক মু. নিজাম উদ্দিন।
এমআইসি