ঢাকাঃ শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর কারণেই আমাদের স্বাধীনতার স্বাদ পূরণ হয়েছিল। তিনি মাত্র ৩ বছর ৭ মাস ৩ দিন দেশ পরিচালনার সুযোগ পেয়েছিলেন। আজকে আমরা দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য যেই কাজ করি, যে কাজে হাত দিই আমরা দেখি বঙ্গবন্ধু সেই কাজের ভিত্তি রচনা করে দিয়ে গেছেন। কী অভূতপূর্ব দক্ষতায় মাত্র সাড়ে ৩ বছরে একটি রাষ্ট্রের আইনি, প্রশাসনিক সমস্ত কাঠামো তৈরি করে ১১৬টির বেশি দেশের স্বীকৃতি আদায় করেছেন।
মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে চাঁদপুর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে আলোচনা সভা এবং পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার আগে অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির হার ছিল শতকরা ৯ ভাগ। আর জিয়া, এরশাদ সকলের আমলে যৌথভাবে আমাদের প্রবৃদ্ধির হার হয়ে গিয়েছিল শতকরা ৩.৪ ভাগ। কেন তারা দেশকে এগিয়ে নিতে পারলেন না? কারণ দেশকে এগিয়ে নিতে চাইলে ভালোবাসা লাগে। দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য ভালোবাসা থাকতে হয়। যা বঙ্গবন্ধুর ছিল। বঙ্গবন্ধুর সময়ে দেশ এগিয়ে গিয়েছিল এবং বর্তমানে তার কন্যার সময়ে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। মাঝখানে যারা ক্ষমতায় এসেছিল তাদের সময়ে আমরা শুধু শোষণ দেখেছি।
দীপু মনি বলেন, বঙ্গবন্ধু খুবই সাধারণভাবে বলেছিলেন, আমি দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে চাই। অর্থনীতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক দর্শন সবকিছুর দর্শন এই একটা বাক্যের মধ্যে ছিল। আজকে তার কন্যা শেখ হাসিনা দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে ঠিক সেই কাজটিই করছেন। তিনি তার বাবার অসমাপ্ত কাজ একে একে সমাপ্ত করছেন।
তিনি আরও বলেন, যারা নিজেদেরকে মুসলমান বলে দাবি করেন, ইসলামের কথা বলে বেড়ান সেদিন কোথায় ছিল ইসলামের সেই চিন্তা। যখন ২০০১ সালে অব্যাহতভাবে মাসের পর মাস সারা দেশকে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা মৃত্যুপুরীতে পরিণত করেছিল। মহিমা, পূর্ণিমা, রজিফাকে ধর্ষণ করা হয়েছিল। তখন কোথায় ছিল তাদের মানবাধিকার।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, চিহ্নিত হত্যাকারীদের সঙ্গে কোনো আপস নয়। শোককে শক্তিতে পরিণত করে জাগরণ হবে। আসুন আমরা সবাই পিতা মুজিবের আদর্শ নিয়ে সামনে এগিয়ে যাই। তিনি যে সোনার বাংলা চেয়েছিলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ করার কাজে আত্মনিয়োগ করি।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, নৌ পুলিশ সুপার কামরুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটোয়ারী দুলাল, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ওসমান গনি পাটোয়ারী, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপু, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মো. জিল্লুর রহমান জুয়েল, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. সৈয়দা বদরুন্নাহার চৌধুরী , চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অসিত বরণ দাস, চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মাসুদুর রহমান, সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ সাহাদাৎ হোসেন, পুরান বাজার ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার, প্রেসক্লাব সভাপতি এএইচএম আহসান উল্লাহ প্রমুখ।
এমআইসি