গণতন্ত্রকে নিরাপদ রাখতে বিএনপিকে প্রতিহত করতে হবে: ওবায়দুল কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক আগস্ট ৮, ২০২৩, ১০:০৬ এএম

ঢাকাঃ গণতন্ত্রকে নিরাপদ রাখতে বিএনপিকে প্রতিহত করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, পঁচাত্তর থেকে যে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি এ দেশে শুরু হয়েছে সেই ধারাবাহিকতায় ১৫ আগস্ট, ৩ নভেম্বর বঙ্গবন্ধুর সহচর জাতীয় চার নেতা হত্যাকাণ্ড, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রনেড হামলা যার প্রধান টার্গেট ছিলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আইভি রহমানসহ ২৩ জনের জীবন চলে গেল। এই সমুদয় ইতিহাসের পেছনে একটা দল বিএনপি। এই দলটি বাংলাদেশে হত্যা, ষড়যন্ত্রের হোতা।

মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) সকালে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্রকে নিরাপদ এবং অসাম্প্রদায়িক মানবতাবোধকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে বিএনপি নামক অপশক্তিকে প্রতিহত করতে হবে। 

তিনি বলেন, বিএনপি প্রতিষ্ঠার পরে যখন শাসক দল হিসেবে ক্ষমতায় ছিল তখন থেকে এই দলটি মূলত বাংলাদেশে হত্যা-ষড়যন্ত্রের রাজনীতির হোতা। তাদের পরাজিত করতে হবে। আজকে এটাই আমাদের অঙ্গীকার। 

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবকে স্মরণ করে তিনি বলেন, শেখ মুজিব থেকে বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধু থেকে জাতির পিতা। বঙ্গবন্ধুর জীবনের এই উত্তরণ। স্বাধীনতা সংগ্রাম। এই সমুদয় সংগ্রামে বেগম মুজিব তাঁর শুধু সহধর্মিণী নন, তিনি ছিলেন তাঁর নিবেদিতপ্রাণ সহযোদ্ধা। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, তিনি (বঙ্গমাতা) ছিলেন বঙ্গবন্ধুর একেবারেই কাছের একজন বিজয় লক্ষ্মী নারী। তাঁর আজ ৯৪তম জন্মদিন। জন্মের আনন্দ বেদনার অশ্রুতে ঢেকে যায়। সে এক অনির্বচনীয় অনুভূতি। 

বঙ্গমাতা ছিলেন বঙ্গবন্ধুর একেবারে কাছের একজন সহকর্মী উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সংকটে-সংগ্রামে পেছন থেকে যিনি বঙ্গবন্ধুকে প্রেরণা ও শক্তি দিয়েছেন, এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন।

বঙ্গমাতার জন্মদিন উপলক্ষ্যে বনানী কবরস্থান মসজিদে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। 

এ সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ডাক্তার মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, খাইরুজ্জামান লিটন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়কসম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর সবুর, সাংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রামের মধ্যদিয়ে স্বাধীনতা লাভ করে বাংলাদেশ। এই লড়াই, সংগ্রাম ও আন্দোলনের নেপথ্যে প্রেরণাদাতা ছিলেন ফজিলাতুন নেছা মুজিব। বঙ্গমাতা ১৯৩০ সালের ৮ আগস্ট গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে স্বামী-পুত্র-পুত্রবধূসহ নিকট আত্মীয়ের সঙ্গে তিনিও ধানমন্ডির নিজ বাসভবনে স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতক চক্রের হাতে শহীদ হন।

বুইউ