শান্তি সমাবেশের নামে যুবলীগ-ছাত্রলীগ মানুষ খুন করছে

নিজস্ব প্রতিবেদক জুলাই ৩০, ২০২৩, ১০:২৬ পিএম

ঢাকাঃ রাজধানীর গুলিস্তানে গোলাপ শাহ মাজারের সামনে শুক্রবার (২৮ জুলাই) আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাতে নিহত যুবক হাফেজ রেজাউল করিম (২১) যাত্রাবাড়ী বড় মাদরাসার জালালাইন জামাতের ছাত্র। তার বাবার নাম আব্দুস ছাত্তার এবং বাড়ি শেরপুরের নকলা উপজেলার নারায়ণকোটা গ্রামে।

হাফেজ রেজাউল করিম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ ও যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান।

আজ এক বিবৃতিতে নেতারা বলেন, গত শুক্রবার বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত সরকারদলীয় কথিত শান্তি সমাবেশের বলি হন হাফেজ রেজাউল করিম। ব্যক্তিগত প্রয়োজনে বায়তুল মোকাররম গিয়েছিলেন রেজাউল। সে কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মী নন। কথিত শান্তি সমাবেশের আয়োজক যুবলীগ-ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সন্ত্রাসীরা হাফেজ রেজাউলকে রাজপথে নির্মমভাবে খুন করেছেন। এ খুনের সঙ্গে কারা জড়িত আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা নিশ্চয়ই তা জানেন।

অতএব, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে। নয়তো গোটা বাংলাদেশের ইসলামপন্থী ছাত্র-জনতা তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলবে।

বিবৃতিতে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, হাফেজ রেজাউল হত্যাকাণ্ডের পর ৪৮ ঘণ্টা অতিবাহিত হয়ে গেলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এখনো কাউকেই গ্রেপ্তার করেনি। তাহলে কী দেশের আইনশৃঙ্খলাবাহিনী শান্তি সমাবেশের নামে যুবলীগ-ছাত্রলীগকে মানুষ খুন করার বৈধতা দিয়ে দিয়েছে? এ হত্যাকাণ্ডের দায় সরকারকেই নিতে হবে।

হাফেজ রেজাউলের শোকসন্তপ্ত পরিবারসহ তার মাদরাসার ব্যথিত সহপাঠীদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করে বিবৃতিতে সরকারের কাছে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দাবি করেন তারা।

উল্লেখ্য, রাজধানীর গুলিস্তানে গোলাপ শাহ মাজারের সামনে শুক্রবার আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাতে নিহত হন রেজাউল করিম। ফিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমে তার পরিচয় শনাক্ত করে সিআইডি। 

 

এমআইসি